সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, বিবিধ

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা


যা আমাদের ধারণ করে তা-ই আমাদের ধর্ম। যা ধারণ করলে সমাজ ও ব্যক্তির মঙ্গল হয় তাকে ধর্ম বলা হয়। সত্যিকার অর্থে ধর্ম কল্যাণকর, শুধু মানুষের জন্য নয় সমগ্র পৃথিবীর জন্যই হিতকর, মঙ্গলকর। পৃথিবীতে যত প্রকার অকল্যাণকর কাজ হয়েছে তা ধর্মের নামে হলেও সেখানে ধর্ম ছিল না, ছিল অধর্ম। সহিষ্ণুতা, ক্ষমা, চিত্তসংযম, অস্তেও অর্থাৎ চুরি না করা, শুচিতা, ইন্দ্রিয়সংযম, ধী, বিদ্যা,

কর্মযোগ ও ধর্মব্যাধ


কর্মফলের আশা না করে কর্তব্য জ্ঞানে অপরের কল্যাণের জন্য কর্ম সম্পন্ন করা ঈশ্বর আরাধনার সামিল। এ কে কর্মযোগ বলা হয়। কর্মযোগে স্বকর্মকে প্রাধান্য দেয়া হয়। স্বকর্ম মানে নিজের কর্ম। নিষ্কামভাবে ঈশ্বরার্পণ বুদ্ধিতে স্বকর্ম সম্পন্ন করলে এ ধরনের কর্ম দ্বারাই

হিন্দু ধর্মের কতিপয় সাধারণ বৈশিষ্ট্য


ঈশ্বরে বিশ্বাস - হিন্দুধর্ম বিশ্বাস করে- ঈশ্বর আছেন, তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। সৃষ্টির আদিতে একমাত্র তিনিই ছিলেন, আর কিছুই ছিল না। বিশ্বের সবই ঈশ্বর হতে উৎপন্ন হয়েছে, আবার তিনিই চরাচর বিশ্ব ব্যাপিয়া আছেন। তিনি সর্বভূতের অন্তরাত্মা। তিনি সমগ্র বেদময়। বেদাদি শ্রাস্ত্র তাঁরই মহিমা কীর্তন করে। সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের কর্তা একমাত্র তিনিই। তিনি মহাশক্তি। শক্তি শব্দটি স্ত্রীবাচক তাই

চণ্ডী


চণ্ডী মার্কণ্ডেয় পুরাণের অংশ। মার্কণ্ডেয় পুরাণের ৮১ থেকে ৯৩ অধ্যায় পর্যন্ত ১৩টি অধ্যায়ের নামই ‘চণ্ডী’। দেবীমাহাত্ম্য ও দুর্গাসপ্তসতী চণ্ডীর অপর দু’টি নাম। এতে ৭০০ মন্ত্র অথবা ৫৭৮টি শ্লোক আছে। সমগ্র তন্ত্রশাস্ত্রের সার চণ্ডীর মধ্যে নিহিত। তাই শক্তি

গীতা


গীতার পুরো নাম শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। এটি মহাভারতের ভীষ্ম পর্বের একটি অংশ। এতে ১৮টি অধ্যায় আছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রাক্কালে বিপক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের দেখে অর্জুন যুদ্ধ করতে চাইলেন না। তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে অনেক উপদেশ দেন। সেটাই গীতা।

মহাভারত


মহাভারত একখানা বিশাল গ্রন্থ। এটি সংস্কৃত ভাষায় রচনা করেছেন ব্যাসদেব। তাঁর মূল নাম কৃষ্ণদ্বৈপায়ন। কাশীরাম দাস, কালীপ্রসন্ন সিংহ এবং আরও অনেকে বাংলা ভাষায় মহাভারত অনুবাদ করেছেন। তন্মধ্যে কাশীরাম দাস অনুদিত মহাভারত বেশ জনপ্রিয়। মহাভারত-এর মূল উপজীব্য বিষয় হলো কৌরব ও পাণ্ডবদের গৃহবিবাদ এবং কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পূর্বাপর ঘটনাবলি। তবে এই আখ্যান ভাগের

রামায়ণ


বেদ, উপনিষদ প্রভৃতির ন্যায় রামায়ণও একটি উল্লেখযোগ্য ধর্মগ্রন্থ। মহর্ষি বাল্মীকি সংস্কৃত ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছেন। রামায়ণকে আদি কাব্যও বলা হয়। স্বয়ং ভগবান ত্রেতাযুগে অযোধ্যার রাজা দশরথের পুত্র রামচন্দ্ররূপে ধরাধামে অবতীর্ণ হন। তিনি জগতে

তন্ত্রশাস্ত্র


ঈশ্বরকে আদ্যাশক্তিরূপে চিন্তা করার উপদেশ তন্ত্রশাস্ত্রে রয়েছে। ঈশ্বরের নারীরূপ ভাবনা করে তাঁকে মাতৃরূপে যাঁরা উপাসনা করেন তাদের বলা হয় শাক্ত। শাক্তগণ বিশ্বাস করেন মহামায়া বিশ্বব্যাপিনী হলেও নারীমূর্তিতে তাঁর সমধিক প্রকাশ। নারী জগদম্বারই জীবন্ত

পুরাণ


‘পুরাণ’ শব্দটির সাধারণ অর্থ প্রাচীন। কিন্তু এখানে শব্দটি এ অর্থে ব্যবহৃত হয় নি। যে ধর্মগ্রন্থে সৃষ্টি ও দেবতার উপাখ্যান, ঋষি ও রাজাদের বংশ পরিচয় প্রভৃতি আলোচনা করা হয়েছে, তাকে বলে পুরাণ। এসবের মাধ্যমে বেদভিত্তিক হিন্দুধর্ম ও সমাজের নানা কথা বলা

উপনিষদ


বেদের দু’টো ভাগ- কর্মকাণ্ড ও জ্ঞানকাণ্ড । কর্মকাণ্ডে কর্ম বিষয়ক এবং জ্ঞানকাণ্ডে জ্ঞান বিষয়ক উপদেশ বিদ্যমান । এই জ্ঞানকাণ্ডই হচ্ছে উপনিষদ। উপনিষদকে ব্রহ্মবিদ্যা এবং গূঢ় বিদ্যাও বলা হয়ে থাকে। এতে আছে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের উপদেশ। উপনিষদ মানে গুরুর

বেদ


বেদ ঈশ্বরের বাণী, যা প্রাচীন ঋষিদের কাছে প্রতিভাত হয়েছিল। ঋষিগণ শিষ্যদেরকে মুখে মুখে বেদ শিক্ষা দিতেন। কালক্রমে ঋষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব বেদ সংগ্রহ করে লিখিত রূপ দেন। তিনি বেদের মন্ত্রগুলোকে চার ভাগে ভাগ করেন। ফলে বেদ হয়ে যায় চারটি। চারটি

নিত্যকর্ম


নিত্যকর্ম প্রতিদিনের কাজ। নিত্যকর্ম ধর্মচর্চার একটি অঙ্গ। ধর্মচর্চা করতে গেলে শরীর ও মন সুস্থ থাকতে হয়। নিত্যকর্মের ফলে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। এজন্য প্রতিদিন নিয়ম মেনে কিছু কর্ম করতে হয়। এই কর্মগুলোই নিত্যকর্ম। শাস্ত্র অনুসারে নিত্যকর্মের ক্ষেত্রে কর্ম

নিরাকার উপাসনা


নিরাকার উপাসনা নিরাকার উপাসনায় ভক্ত নিজের অন্তরে ঈশ্বরকে অনুভব করেন। ঈশ্বরের নাম জপ করেন। তাঁর নাম কীর্তন করেন।

সাকার উপাসনা


সাকার উপাসনা ‘সাকার ’ অর্থ যার আকার বা রূপ আছে। আকার বা রূপের মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা করাই সাকার উপাসনা। ঈশ্বরের

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

উপাসনা ও নিত্যকর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ সেশন প্লান


উপাসনা ও নিত্যকর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ সেশন প্লান 

অধিবেশন - ২ : উপাসনা ও নিত্যকর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ 

মূলভাব : ঈশ্বর মানুষ,জীব, জগৎ, প্রকৃতি সব কিছুর স্রষ্টা ও নিয়ন্তা। তিনি সর্বত্র বিরাজমান, নিরাকার, এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন দ্বিতীয় সত্ত্বা নেই তবে তিনি বিভূতি প্রকাশের জন্য সাকার হন আবার লীলা প্রকাশের জন্য জীবদেহ ধারণ করেন। তাই নিরাকার, সাকার

স্রষ্টা ও সৃষ্টি এবং হিন্দুধর্ম সেশন প্লান


স্রষ্টা ও সৃষ্টি এবং হিন্দুধর্ম সেশন প্লান

 অধিবেশন- ১: স্রষ্টা ও সৃষ্টি এবং হিন্দুধর্ম 

 মূলভাব : আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশ বৈচিত্র্যময় হলেও এর মধ্যে রয়েছে গভীর ঐক্য ও শৃঙ্খলা। ঋতুচক্রের আবর্তন, দিবা-রাত্রির পালাবদল আর গ্রহ-উপগ্রহের একই নিয়মে চলার মধ্যেও এর নিদর্শন রয়েছে। এর মূলে রয়েছেন এক সুমহান স্রষ্টা ও নিয়ন্ত্রক। তিনিই

হিন্দুধর্ম ও মূল্যবোধ সেশন প্লান

হিন্দুধর্ম ও মূল্যবোধ সেশন প্লান

 অধিবেশন - ৩ : হিন্দুধর্ম ও মূল্যবোধ 

 মূলভাব : যা আমাদের ধারণ করে তা-ই ধর্ম। ধর্ম ধারণ করলে সমাজ ও ব্যক্তির মঙ্গল হয়, মূল্যবোধ বিকশিত হয়। কোন কাজটি করা

উপাসনা ও নিত্যকর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ


   

ঈশ্বর মানুষ, জীব, জগৎ, প্রকৃতি সব কিছুর স্রষ্টা ও নিয়ন্তা। তিনি সর্বত্র বিরাজমান, নিরাকার, এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন দ্বিতীয় সত্ত্বা নেই তবে তিনি বিভূতি প্রকাশের জন্য সাকার হন আবার লীলা প্রকাশের জন্য জীবদেহ

সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৩

সপ্তশতী অনুধ্যান -২




গীতার কতিপয় বিশিষ্ট ভাব বা উপদেশ, যা চণ্ডীতে মূর্ত হয়ে সুবিকশিত হয়েছে, তা গীতার অধ্যায়ক্রমে এখানে আলোচনা করা হচ্ছে।

সপ্তশতী অনুধ্যান-৩



শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ও দেবী-মাহাত্ম্য শ্রীশ্রীচণ্ডীর বিভিন্ন শ্লোকের মধ্যে ভাব ও ভাষাগত আশ্চর্য মিল পরিলক্ষিত হয় । দৃষ্টান্তস্বরূপ কতিপয় শ্লোক উল্লেখ করা হলোঃ-