বেদের দু’টো ভাগ- কর্মকাণ্ড ও জ্ঞানকাণ্ড । কর্মকাণ্ডে কর্ম বিষয়ক এবং জ্ঞানকাণ্ডে জ্ঞান বিষয়ক উপদেশ বিদ্যমান । এই জ্ঞানকাণ্ডই হচ্ছে উপনিষদ। উপনিষদকে ব্রহ্মবিদ্যা এবং গূঢ় বিদ্যাও বলা হয়ে থাকে। এতে আছে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের উপদেশ। উপনিষদ মানে গুরুর
নিকট বসে আত্মজ্ঞান উপদেশ শিক্ষা করা। উপনিষদের ‘উপ’ শব্দের অর্থ ‘সমীপে’ এবং ‘নিষদ্’ শব্দের অর্থ ‘বাস’। যে তত্ত্ব জ্ঞানের দ্বারা পরমেশ্বরের নিকট বাস করা যায় তাকেই উপনিষদ বলা হয়। বেদের ‘অন্ত’ বলে একে বেদান্তও বলা হয়। উপনিষদের সংখ্যা শতাধিক। তাদের মধ্যে প্রধান বার খানার নাম- ঈশ, কেন, কঠ, প্রশ্ন, মুণ্ডক, মাণ্ডুক্য, তৈত্তিরীয়, ঐতরেয়, শ্বেতাশ্বতর, ছান্দোগ্য, বৃহদারণ্যক ও কৌষীতকি উপনিষদ। বেদ এবং উপনিষদের কর্মকাণ্ড ও জ্ঞানকাণ্ডের তাৎপর্য সহজে বোঝার জন্য কয়েকটি স্মৃতি গ্রন্থ ছাড়া ছ’ খানা দর্শন এবং আঠার খানা পুরাণের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন