সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, বিবিধ

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

পুরাণ


‘পুরাণ’ শব্দটির সাধারণ অর্থ প্রাচীন। কিন্তু এখানে শব্দটি এ অর্থে ব্যবহৃত হয় নি। যে ধর্মগ্রন্থে সৃষ্টি ও দেবতার উপাখ্যান, ঋষি ও রাজাদের বংশ পরিচয় প্রভৃতি আলোচনা করা হয়েছে, তাকে বলে পুরাণ। এসবের মাধ্যমে বেদভিত্তিক হিন্দুধর্ম ও সমাজের নানা কথা বলা
হয়েছে। মূল পুরাণ ১৮ খানা আবার উপপুরাণও ১৮ খানা। এগুলোর রচয়িতা ব্যাসদেব। মহাভারত, ভাগবতসহ কয়েকটি মূল পুরাণ হলো- ব্রহ্মপুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, শিব পুরাণ, অগ্নিপুরাণ ইত্যাদি। আর কয়েকটি উপপুরাণ হলো- নরসিংহ পুরাণ, কালিকা পুরাণ, দেবী পুরাণ ইত্যাদি। পুরাণের মধ্যে তিনজন দেবতার মাহাত্ম্য প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা হলেন, ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব। দুর্গা ও কালীর বর্ণনা আছে যথাক্রমে দেবী পুরাণ ও কালিকা পুরাণে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন