সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, বিবিধ

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

গীতা


গীতার পুরো নাম শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। এটি মহাভারতের ভীষ্ম পর্বের একটি অংশ। এতে ১৮টি অধ্যায় আছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রাক্কালে বিপক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের দেখে অর্জুন যুদ্ধ করতে চাইলেন না। তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে অনেক উপদেশ দেন। সেটাই গীতা।
গুরুত্বের কারণে এটি পৃথক গ্রন্থের মর্যাদা পেয়েছে। বেদকল্পবৃক্ষের অমৃতময় ফল উপনিষদ। আর উপনিষদের সার ভাগ হচ্ছে গীতা। তাই গীতাকে এয়োদশ উপনিষদ বলা হয়। এটি সর্বশাস্ত্রের শিরোভূষণ এবং সমভাবে সর্ব সম্প্রদায়ের নমস্যা হয়ে আছে। বেদের ন্যায় সর্ব সম্প্রদায়েরই মান্য। গীতাশাস্ত্রে কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। গীতার উপদেশ হচ্ছে ফলাকাঙ্খা ত্যাগ করে নিষ্কাম কর্ম করা। একে কর্মযোগ বলে। কর্মযোগে সিদ্ধ হলে জ্ঞানের উদয় হয়। জ্ঞানীসাধক ঈশ্বরকে সকলের মধ্যে প্রত্যক্ষ করেন এবং ঈশ্বরকে সেবা করার জন্য লোকহিতকর কর্ম করেন। লোকহিতকর কর্ম মাত্রই ঈশ্বরের সেবা। একথা চিন্তা করতে করতে জ্ঞানীর হৃদয়ে ভক্তির উদয় হয়। ভক্ত কর্মময় জীবনের অন্তে মুক্তি লাভ করেন। গীতা হচ্ছে সকল শাস্ত্রের সার তাই এটি হিন্দুদের নিত্যপাঠ্য গ্রন্থ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন