সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, বিবিধ

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

সাকার উপাসনা


সাকার উপাসনা ‘সাকার ’ অর্থ যার আকার বা রূপ আছে। আকার বা রূপের মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা করাই সাকার উপাসনা। ঈশ্বরের
কোন বিশেষ শক্তি বা গুণ যদি কোন রূপ বা আকার ধারণ করে তখন তাকে বলা হয় দেবতা। যেমন-ঈশ্বরের সৃষ্টি ক্ষমতাকে বলা হয় ব্রহ্মা, পালন শক্তিকে বলা হয় বিষ্ণু, আর ধ্বংস করে ভারসাম্য রক্ষা করার শক্তিকে বলা হয় শিব। দুর্গা শক্তির দেবী। সরস্বতী বিদ্যার আর ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী । দেবদেবীরা পূজায় সন্তুষ্ট হন। আবার দেবদেবীরা সন্তুষ্ট হলে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তের বাঞ্ছা পূর্ণ করেন। দেবতারা ঈশ্বরের শক্তির বিশেষ বিশেষ সাকার রূপ। তাই দেবতা বহু হলেও ঈশ্বর বহু নন। আর দেবতাসহ বিশ্বজগতের সকল কিছুর ক্ষমতাও সৌন্দর্য ঈশ্বরের ক্ষমতা ও সৌন্দর্য্যের বহিঃপ্রকাশ। যাঁরা শ্রদ্ধা সহকারে অন্য দেবতার পূজা করেন, তাঁরাও ভিন্নভাবে ঈশ্বরেরই পূজা করেন। কেননা, ঈশ্বর হতে পৃথক কোন দ্বিতীয় সত্তা নেই। এক কথায় বলা যায়, সকল দেবতাই ঈশ্বরের সাকার রূপ। তাই ভক্তবৃন্দ ঈশ্বরকে দেব-দেবীর প্রতিমারূপে ও অবতাররূপে উপাসনা করেন। এরূপ উপাসনায় ভক্ত ঈশ্বরকে সাকাররূপে কাছে পায়। তাঁকে পূজা করে। তাঁর নিকট প্রার্থনা করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন