সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, বিবিধ

বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

ফুল না ফুটি সাইরী না সাইরী



ফুল না ফুটি সাইরী না সাইরী
মা গো, ভোমরা গুনগুন করে।

লেম্বু তলে আমার সিফাই দুলা সাজে গো



লেম্বু তলে আমার সিফাই দুলা সাজে গো
লেম্বু তুলিও না।
রান্ধা ঘরে সামাইমু

আইলারে নয়া দামান্দ আসমানের তেরা



আইলারে নয়া দামান্দ আসমানের তেরা
বিছানা বিছাইয়া দেও -২
শাইল ধানের নেরা
দামান্দ বও দামান্দ বও।

নৌকার ঝিলিমিলি দেখিয়া



নৌকার ঝিলিমিলি দেখিয়া
বৈঠার গাফুর গুফুর শুনিয়া
কান্দুইন গো অবুঝ লিলাই বাবাজীর কুলে বসিয়া।

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

হিন্দুধর্ম ও মূল্যবোধ



যা আমাদের ধারণ করে তা-ই আমাদের ধর্ম। যা ধারণ করলে সমাজ ও ব্যক্তির মঙ্গল হয় তাকে ধর্ম বলা হয়। সত্যিকার অর্থে ধর্ম কল্যাণকর, শুধু মানুষের জন্য নয় সমগ্র পৃথিবীর জন্যই হিতকর, মঙ্গলকর। পৃথিবীতে

স্রষ্টা ও সৃষ্টি এবং হিন্দুধর্ম

বৈচিত্র্যময় আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশ। ওপরে অনন্ত আকাশ। সেই আকাশে চন্দ্র-সূর্যসহ কত গ্রহ-উপগ্রহ রয়েছে, রয়েছে অগণিত জ্যোতিষ্ক।

মহানুভবতা : বশিষ্ঠের মহানুভবতা


মানুষের মনে সুপ্রবৃত্তি ও কুপ্রবৃত্তি, ভালো ও মন্দ দুইই আছে। তেমনি আছে সংকীর্ণতা ও মহানুভবতা । মহানুভবতার অর্থ হলো অনুভবের মহত্ব বা বিরাটত্ব-উদারচিত্ততা । ‘উদারচরিতানাং তু বসুধৈব কুটুম্বকম্ ।’ যিনি উদার চরিত্রের অধিকারী বা মহানুভব , সমস্ত

এসো মা দুর্গা দুর্গতিনাশিনী


ষড়ঋতুর বাংলাদেশে শরৎ এক বৈচিত্রময় ঋতু। শিউলী ঝরা সকাল, নদী তীরে কাশবন, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, হাওড়-নদী-বিল-ঝিলে বর্ষার দাপট কাটিয়ে একটু প্রশান্তি। প্রকৃতি আর মানুষের মন আনন্দে ভরপুর। আসে শারদোৎসব-শরৎকালীন দুর্গা পূজা।

মা দুর্গা : সনাতন ধর্মের মূর্ত প্রতীক


ব্রহ্ম বা ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজিত। প্রতিটি প্রাণীর সমগ্র সত্তায়, প্রতিটি প্রাণীর সমস্ত ইন্দ্রিয়ের মধ্যেও তাঁর উপস্থিতি। এই সর্বব্যাপকতাই সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্মের মূল সুর। আর্য ঋষিরা এই সর্বব্যাপক-সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আরাধনা মাতৃরূপেও করেছেন। শাস্ত্র

শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

মহালয়ার তাৎপর্য


আশ্বিন মাস। দিগন্তজোড়া সাদা মেঘের ছড়াছড়ি। নদীতীরে শূচিশুভ্র কাশবন। শিউলী ঝরা সকাল। এসেছে আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষের অন্তিম তিথি; সর্বপিতৃ অমাবস্যা- মহালয়া। মহালয়া এলেই যেন বাংলার মাটি-নদী-আকাশ মাতৃপূজার মহালগ্নকে বরণ করতে প্রস্তুত হয়।

গিরি! প্রাণগৌরী আন আমার


দুর্গা পূজা বাঙালি হিন্দুর প্রাণের উৎসব-একথা সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেন। কিন্তু কখন, কোথায় এ উৎসবের শুরু হয় তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে পূজার ক্রিয়াকাণ্ড, উপচারাদি ও লোকায়ত চেতনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়; আদি যুগে বাংলাদেশেই হয়েছিল

শুভ দীপাবলী


দীপাবলী অর্থ আলোর উৎসব। এ-কে দেওয়ালীও বলা হয়। এর সময়কাল কার্তিক মাসের অমাবস্যার সন্ধ্যা। শুধু ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবীর সর্বত্র এ উৎসব পালিত হয়। তবে আলো-কে আমন্ত্রণ-বরণ করার উপাচার অনেকটা পৃথিবীর সর্বব্যাপী । বৌদ্ধ, জৈন ও খৃস্টানরাও

আদি দেবী শারদীয় দুর্গা


বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবী এখানে মৃন্ময়ী প্রতিমায় স্বপরিবারে পূজিতা। দশভুজা হলেও এক নারীমূর্তি, মাতৃমূর্তি। কিন্তু ‘দুর্গা’ কে? ‘দুর্গ’-শব্দের শেষে ‘আ’-কার যুক্ত হয়ে ‘দুর্গা’ শব্দ গঠিত। ‘দুর্গ’-অর্থ- দৈত্য, মহাবিঘ্ন, ভববন্ধ, কুকর্ম,

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও হিন্দুধর্ম


ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। তিনি সকল কিছুর নিয়ন্তা । তিনিই সৃষ্টি কর্তা । এই বৈচিত্র্যময় পৃথিবী, তিনিই সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি বিস্তারের ইচ্ছায় তিনি ব্রহ্মারূপে প্রথম পুরুষ স্বায়ম্ভুব মনু ও নারী শতরূপাকে সৃষ্টি করেছিলেন। তাই তো মনুর সন্তান বলে আমরা মানব নামে

দেশপ্রেম : কার্তবীর্যার্জুনের দেশপ্রেম


দেশের প্রতি ভালবাসাকে বলা হয় দেশপ্রেম । নিজের দেশের প্রতি মানুষের প্রগাঢ় ভালোবাসা থাকে, থাকে মমত্ববোধ। স্বদেশের প্রতি এই ভালোবাসা ও মমত্ববোধই দেশপ্রেম। দেশপ্রেমও ধর্মের অঙ্গ। শাস্ত্রে বলা হয়েছে- ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী।’ অর্থাৎ মা ও মাতৃভূমি স্বর্গের চেয়েও বড়। সুগভীর দেশপ্রেমের আবেগে কবির কন্ঠে ধ্বনিত হয়- ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা।’

সৎসাহস : অভিমন্যুর সৎসাহস


‘সাহস’ শব্দটির মানে হচ্ছে ভয়শূন্যতা, নির্ভীকতা। বিপজ্জনক কাজে উদ্যমের নামও সাহস। এই সাহস ভালো বা সৎ কাজে অথবা মন্দ বা অসৎ কাজে উভয় ক্ষেত্রেই দেখানো যেতে পারে। তবে সৎ বা মঙ্গলজনক কাজে যে সাহস দেখানো হয়, তাকে বলা হয় সৎসাহস । যখন কেউ দুর্বলের উপর অত্যাচার করেন, তখন সৎসাহস নিয়ে দুর্বলের পক্ষে দাঁড়ানো উচিত। শরণাগতকে তাড়নাকারীর হাত থেকে রক্ষা

মানবতাবোধ


মানবতা মানুষের একটি গুণ বা ধর্ম। মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করে । অপরের দুঃখে তার প্রাণ কেঁদে ওঠে। বিপদাপন্নের পাশে দাঁড়ায়,

রন্তিদেবের মানবতাবোধ


অনেক অনেককাল আগে এক দেশে এক রাজা ছিলেন। নাম তার রন্তিদেব। তিনি শুধু রাজা ছিলেন না, ছিলেন রাজার রাজা মহারাজা। সম্রাট। কিন্তু সম্রাট হয়েও রন্তিদেব পার্থিব বিষয়ের প্রতি আসক্ত নন। শ্রীকৃষ্ণের চরণকেই তিনি একমাত্র সম্পদ বলে জ্ঞান করেন।

সেবা : সিদ্ধার্থের জীব সেবা


সেবা কথাটির নানা রকম অর্থ হয়। সেবা বলতে বোঝায় পরিচর্যা, যেমন - অতিথি সেবা, জীবসেবা । সেবা মানে শুশ্রূষা, যেমন - রোগীর সেবা । সেবার একটি অর্থ- উপাসনা, যেমন- ঠাকুর সেবা । এক কথায় অপরের সন্তোষ বিধানের জন্য যে কল্যাণকর কাজ করা হয় তাকেই বলা হয় সেবা । কাউকে কোন কিছু দান করেও সেবা করা যায়। তবে দান আর সেবা পুরোপুরি এক নয়। দানের ক্ষেত্রে কিছু না কিছু দিতে

প্রীতি : শ্রীকৃষ্ণের বন্ধুপ্রীতি


প্রীতি একটি মহৎ গুণ। প্রীতি বলতে সন্তোষ, তৃপ্তি, অনুরাগ, বন্ধুত্ব প্রভৃতি বোঝায়। প্রীতি জীবনকে সুন্দর ও সহনীয় করে এবং সমাজকে শান্তিময় করে তোলে। স্নেহ, ভক্তি ও প্রীতি মূলত অনুরাগ বা প্রাণের টানকে বোঝায় । এই প্রীতি যখন ছোটদের প্রতি দেখানো হয়, তখন তাকে বলে স্নেহ। আবার যখন গুরুজন বা ঈশ্বরের প্রতি দেখানো হয়, তখন তাকে বলে ভক্তি। বন্ধু স্থানীয় এবং বন্ধুদের প্রতি প্রাণের