হিন্দুধর্মে বিবাহ একটি আবশ্যক ধর্মীয় অনুষ্ঠান; ধর্মীয়
আচরণ । মানুষকে বিশুদ্ধকরণ তথা পাপমুক্ত করার জন্য হিন্দুদের যে দশবিধ সংস্কার
আছে, তার মধ্যে বিবাহ হচ্ছে দশম বা শেষ সংস্কার। বিবাহের দ্বারা স্ত্রীলোকের
কুলসম্পর্কের চ্যুতি ঘটে। গোত্রদ্বারাই হিন্দুদের কুল সম্পর্ক সূচিত হয়। বিবাহ দ্বারা
স্ত্রীলোক পিতৃকুলের গোত্র ছিন্ন করে স্বামীকুলের গোত্র গ্রহণ করে। তাই হিন্দু
নারীর পক্ষে জীবনের চরম সন্ধিক্ষণ হচ্ছে বিবাহ। এই সন্ধিক্ষণে যাতে কোন
বাধাবিপত্তি না ঘটে তার উদ্দেশ্যেই বিবাহ ব্যাপারে হিন্দুদের নানা আচার-অনুষ্ঠানের
অনুবর্তী হতে হয়। এই আচার-অনুষ্ঠানকে দু’ভাগে ভাগ করা যেতে পারে- স্ত্রী আচার ও
পুরোহিত কর্তৃক সম্পাদিত ধর্মীয় আচার। স্ত্রী আচার কেবলমাত্র সধবা মহিলাদের
দ্বারাই সম্পাদিত হয়। মেয়েলী সমাজে পুরোহিত কর্তৃক সম্পাদিত ধর্মীয় আচারের চেয়ে
স্ত্রী আচারের উপর বেশি জোর দেয়া হয়। তাদের বিশ্বাস এগুলোয় কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি
ঘটলে বর-কনে উভয়েরই অমঙ্গল ঘটবে। বিশেষ করে বিবাহকালে যত রকমের বাধাবিপত্তি ঘটতে
পারে সেগুলোকে প্রতিহত করাই হচ্ছে স্ত্রী আচারসমূহের উদ্দেশ্য। পুরোহিত কর্তৃক
সম্পাদিত অনুষ্ঠানগুলোতে এধরনের উদ্দেশ্য থাকলেও বিবাহের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ককে পবিত্রীকৃত
করাই এক্ষেত্রে প্রাধান্য পায়।
রোগী বহন : রোগীকে
স্থানান্তরিত করা বা বহন করা প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব
সুতরাং, প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীকে অবশ্যই রোগী বহন পদ্ধতি জানতে হয়। প্রাথমিক
প্রতিবিধানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অসুবিধাজনক ব্যাপার হলো কোথায়, কি অবস্থায় কি ধরণের
রোগী পাওয়া যাবে আর হাতের কাছে কি ধরণের বাহন ব্যবস্থা থাকবে তা কেউ বলতে পারে না।
তাই একজন প্রাথমিক প্রতিবিধানকারী স্কাউটকে হতে হবে অত্যন্ত দক্ষ। অবস্থার নিরীখেই
তাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আঘাতের ধরণ বা রোগীর অবস্থা আঘাতের গুরুত্ব, কতজন
নির্ভর যোগ্য সাহায্যকারী পাওয়া যাবে, ঘটনাস্থল থেকে যেখানে স্থানান্তরিত করা হবে
তার দুরত্ব, পথের অবস্থা ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বহন পদ্ধতি নিরুপন করতে
হবে। নিম্নে রোগী বহনের সহজ এবং সাধারণ কয়েকটি নিয়ম বা পদ্ধতি দেয়া হলো।
যে কোন দুর্ঘটনার কবল থেকে পরিত্রাণ করার কৌশল কে উদ্ধার
কাজ বলা হয়। স্কাউটদেরউদ্ধারকাজে
পারদর্শিতা করে তোলার জন্য বিশেষ করে আগুনও পানি থেকে উদ্ধার করার কৌশল
আয়ত্ব করানো হয়ে থাকে।
দীক্ষা অনুষ্ঠান একজন নবাগতের জন্য কাব
স্কাউট জীবনের প্রবেশদ্বার। নবাগত হিসেবে একজন বালক/বালিকা সদস্য ব্যাজের বিষয়
তিনমাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর সে কাবিং এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাব প্রতিজ্ঞা ও
আইন তার দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়নে অভ্যস্ত হয়ে পড়লেই দীক্ষা
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্কাউট আন্দোলনের একজন সক্রিয়
সদস্য হিসেবে বরণ করে নেয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে দীক্ষা গ্রহণের পূর্ব মহুর্ত পর্যন্ত কোন নবাগত স্কার্ফ ও ব্যাজ পরতে
পারে না এবং নিজেকে একজন কাব স্কাউট হিসেবে দাবী করতে পারে না।
রুটি,
তরকারি ও মাংস রান্না তাঁবু জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। রুটি
তৈরি করার প্রচলিত নিয়ম হলো- ময়দার সাথে প্রয়োজনমত লবণ
এবং বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিতে হবে। এইবার প্রয়োজন মত পানি নিয়ে মাখিয়ে নিলে একতাল
খামীর প্রস্তুত হবে। নতুন ময়দা কিছুটা হাতে
লাগিয়ে নিলে উহাতে খামীর আটকে যাবে না। বারবার হাত চাপড়িয়ে এর দ্বারা একটি বড় রুটি
বা অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রুটি তৈরি করা যায়। তারপর আগুনের
কিছুটা অংশ থেকে অঙ্গার,
ছাই ইত্যাদি সরিয়ে রুটিগুলি গরম মাটিতে রাখতে হবে। এর চারিদিকে গরম ছাই জড়ো করে
দিলেই রুটি ছেকা হতে থাকবে। এই উপায়ে পাত্র ছাড়া রুটি তৈরি
করা যায়।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য
ও দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মার্চ পাস্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রতিরক্ষা
বাহিনীতে মার্চ পাস্ট এক নম্বরের আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়। স্কাউটের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথিদের সম্মান
প্রদর্শনের জন্য মার্চ পাস্টের প্রচলন রয়েছে। এটা নিয়মিত অনুশীলন করতে হয়। ইউনিট
লিডারগণ ভুলে গেলে কোন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দিয়ে দলের স্কাউটদের অনুশীলন করানো উচিত।
এ ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
খেলনা তৈরি : শিশুরা খেলনা নিয়ে খেলতে ভালবাসে। নিজেদের খেলনা নিজেরা
তৈরি করেও প্রচুর আনন্দ পেয়ে
থাকে। প্রশিক্ষণ সহযোগিতা এবং একটু চেষ্টা করলেই কাবেরা নিজেদের খেলনা সহজেই তৈরি করতে পারে। কাবেরা ‘‘খেলনা তৈরি’’ পারদর্শিতা ব্যাজটি তারা ব্যাজ স্তরে অর্জন করতে হয়। এ ব্যাজটি অর্জন করতে হলে নিম্নলিখিত
খেলনাসমূহ তৈরি করা শিখতে হয়।
ক) একটি ঘুড়ি/কাপড়ের পুতুলতৈরি করতে পারা;
খ) কাগজের ফুল তৈরি করতে পারা;
গ) যে কোন জিনিসের সাহায্যে ২টি খেলনা তৈরি করতে পারা।
গ্যাজেট
তৈরি
:তাঁবুবাস যেহেতু স্কাউটিং এর একটি বড় অধ্যায় সুতরাং
তাঁবুবাসকে যথাযথভাবে বসবাস উপযোগী করে তোলার বিষয়গুলো আমাদের জেনে রাখা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। তাঁবুতে বসবাসকালে বাড়ীতে ব্যবহৃত নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র না
থাকলেও স্কাউটরা তাঁবু বাসের জন্য নিজেদের হাতের কাছে যে সকল উপকরণ পায়
সেগুলোরসাহায্যে তারা প্রয়োজনীয়
আসবাবপত্র তৈরী করে বসবাস উপযোগী করে নেয়। এরূপ তৈরি বিকল্প আসবাবপত্রকে গ্যাজেট
বলে।
ভূমিকা
: রান্না
স্কাউটদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ও অপরিহার্য বিষয় হিসাবে স্থান পেয়ে আসছে। রান্নার মাধ্যমে স্কাউটরা দলীয় চেতনায়
উদ্বুদ্ধ হয়। রান্নার কাজকর্মগুলি ভাগাভাগি করে সকলে মিলেমিশে করে বলে দলীয় চেতনা
বিকাশ লাভ করে। রান্না স্কাউটদের জীবনে প্রতি ক্ষেত্রেই উপকারে আসে। রান্নার
মাধ্যমেই ভ্রাতৃত্ববোধ, পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সাহায্য ও সহযোগিতার মনোভাব গড়ে
উঠে এবং এর মাধ্যমে স্কাউটরা আত্মনির্ভরশীল হয় উঠে। কাজেই তাদের রান্নার উপকরণ, দলীয়
উপকরণ, খাদ্য তালিকা প্রস্তুত ও অন্যানা বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান
অর্জন প্রয়োজন। তাছাড়া ব্যাক উডসম্যানদের অনুকরণে পাত্র ছাড়া রান্নার বিভিন্ন কৌশল
রপ্ত করে দক্ষ হয়ে উঠে এবং প্রয়োজনে প্রয়োগ করতে পারে।
অনুবাদ- বাগানে যে ফুল ফোটে রঙ আর
সুরভির মিলনেই তার সার্থকতা। তেমনি আমাদের দু’জনের মিলনেই আমাদের চরম মূল্যায়ন,
আমাদের জীবনের পূর্ণতা। একা আমি তো অসম্পূর্ণ, একা তুমিও নেহাতই মূল্যহীনা।