সাধারণ রান্না
ভূমিকা
: রান্না
স্কাউটদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ও অপরিহার্য বিষয় হিসাবে স্থান পেয়ে আসছে। রান্নার মাধ্যমে স্কাউটরা দলীয় চেতনায়
উদ্বুদ্ধ হয়। রান্নার কাজকর্মগুলি ভাগাভাগি করে সকলে মিলেমিশে করে বলে দলীয় চেতনা
বিকাশ লাভ করে। রান্না স্কাউটদের জীবনে প্রতি ক্ষেত্রেই উপকারে আসে। রান্নার
মাধ্যমেই ভ্রাতৃত্ববোধ, পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সাহায্য ও সহযোগিতার মনোভাব গড়ে
উঠে এবং এর মাধ্যমে স্কাউটরা আত্মনির্ভরশীল হয় উঠে। কাজেই তাদের রান্নার উপকরণ, দলীয়
উপকরণ, খাদ্য তালিকা প্রস্তুত ও অন্যানা বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান
অর্জন প্রয়োজন। তাছাড়া ব্যাক উডসম্যানদের অনুকরণে পাত্র ছাড়া রান্নার বিভিন্ন কৌশল
রপ্ত করে দক্ষ হয়ে উঠে এবং প্রয়োজনে প্রয়োগ করতে পারে।
রান্নার
পাত্র
: ভাত, তরকারী ও ডাল রান্নার পাত্র খাড়া সসপেন জাতীয়
ফ্লাট ঢাকনা হওয়া প্রয়োজন। আট জনের রান্নার জন্য নিম্নরূপ পাত্র দরকার।
(ক) ভাতের
জন্য - ৭ ইঞ্চি গভীর/ খাড়া এবং ১৪ ইঞ্চি
ব্যাস
(খ) তরকারীর
জন্য - ৬ ইঞ্চি
গভীর/ খাড়া এবং ১২ ইঞ্চি
ব্যাস
(গ) ডালের
জন্য - ৬ ইঞ্চি গভীর / খাড়া এবং ১২ ইঞ্চি
ব্যাস
এতে পর পর একটি পাত্রের ভিতরে
পর্যায়ক্রমে সব কয়টি
পাত্র দিয়ে ঢাকনা দিলে জায়গা এবং ব্যবহার সব দিকেই সুবিধা হয়। ভাজি রান্নার জন্য
ফ্রাইপেন এবং চায়ের জন্য কেতলি ব্যবহার সুবিধাজনক।
রান্না করতে দুইটি জিনিসের প্রতি গুরুত্ব আরোপ
করতে হয়-
১)
রান্নার উপকরণ ও পরিমাণ,
২) রান্নার নিয়ম।
উপকরণের
পরিমানের তারতম্যের জন্য খাদ্যের স্বাদ ও গন্ধের যথেষ্ট তারতম্য হয়। অতএব বিষয়গুলোর
প্রতি যথেষ্ট
দৃষ্টি রেখে রান্না আরম্ভ করতে হবে। উপকরণ এবং সরঞ্জামাদি হাতের কাছে গুছিয়ে
রান্না শুরু
করতে হবে। নিম্নে একটি ষষ্ঠক অর্থাৎ ০৬ জনের জন্য
রান্নার নিয়ম সংক্ষেপে বর্ণনা করা হল।
ভাত রান্না : দুইটি উপায়ে ভাত রান্না করা যায় (১) বসা ভাত, (২) মাড় ঝরা ভাত।
(১) বসা ভাত : উপকরণ- (ক) চাউল ১ - ২ কেজি (সিদ্ধ) / যতটা প্রয়োজন ( খ) পানি।
রান্নার
নিয়মঃ প্রথমে চাউল ঝেড়ে বেছে নিন যাতে চালে তুষ, কুড়া, বালি
বা কাঁকর না থাকে। পরিস্কার পানি দিয়ে চাল ধুয়ে নিন। যে পাত্র দ্বারা চাল মাপা হবে
সে পাত্র দ্বারা যতটা চাল নেবেন তার দ্বিগুণ পানি পাত্রে দিয়ে চুলায় চাপিয়ে
দিন। এবার পানি ফুটে উঠলে চাল দিয়ে দিন এবং চামচ দিয়ে নেড়ে দিন। প্রথম দিকে ঘন ঘন
নেড়ে দিন। আঁচটা
এমনভাবে রাখুন যাতে ভাতের পানিটা ফুটতে থাকে। পানি কমে আসলে আঁচ কমিয়ে দিন। পানি শুকিয়ে চটচটে
আওয়াজ শুরু
হলে হাঁড়ি
নামিয়ে দিন।
চাল এবং পানি একত্রে চুলায় চাপিয়েও
ভাত রান্না করা যায়।
২) মাড় ঝরা ভাত : উপকরণ (ক) প্রয়োজন মত সিদ্ধ চাল ( খ) পানি।
রান্নার
নিয়ম
: প্রথমে চাউল
ঝেড়ে বেছে নিন যাতে চালে তুষ, কুড়া, বালি বা কাঁকর না থাকে। পরিস্কার পানি দিয়ে
চাল ধুয়ে নিন। যে পাত্র দ্বারা চাল মাপা হবে সে পাত্র দ্বারা যতটা চাল নেবেন তার
তিনগুণ
পানি ( বেশী হলে অসুবিধা নেই) নিয়ে একটি পাত্রে চুলায় চাপিয়ে রেখে চাল ধুয়ে পাত্রে
দিয়ে দিন। আঁচটা
এমনভাবে রাখুন যাতে ভাতের পানিটা ফুটতে থাকে। ৩০ মিনিট পর ( কোন কোন চালে আরও বেশী
সময় লাগতে পারে) দুই একটি ভাত টিপে দেখুন। ভাতের ভিতরটা শক্ত না থাকলে বুঝতে হবে
চাল সিদ্ধ হয়ে গেছে। এবার মাড় ঝড়িয়ে নিন। ভাতের পরিমাণ বেশী হলে ইট বা অন্য কিছু
দ্বারা একটি উঁচু
জায়গা তৈরী করে যেখানে মাড় ঝরবে এমন একটি বাঁশের ডালা বা সাজি রেখে তাতে মাড়সহ ভাত
ঢেলে দিন। মাড় ঝরে গেলে সাজি ঝাকিয়ে ভাত উল্টে দিন। এতে ভাত ঝরঝরে থাকবে। এ
পদ্ধতিতে ভাত রান্না করলে ভাতের মাড়ের সাথে অনেক ভিটামিন চলে যায়। কাজেই ভাতের
পরিপূর্ণ ভিটামিন পাওয়ার লক্ষ্যে বসা ভাত রান্না করা উচিত।
খিচুড়ি রান্না
ক্রমিক
|
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
ক্রমিক
|
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
১
|
পোলাও চাল
|
১ কেজি
|
৮
|
মরিচ বাটা
|
১০ গ্রাম /২ চা চামচ
|
২
|
মুগ/মুসুরীর ডাল
|
৫০০গ্রাম
|
৯
|
ধনে বাটা
|
১০ গ্রাম /২ চা চামচ
|
৩
|
তেজপাতা
|
৪ টি
|
১০
|
জিরা (গুড়া)
|
১০ গ্রাম /২ চা চামচ
|
৪
|
পিঁয়াজ
|
১০০ গ্রাম
|
১১
|
লবণ
|
৫০ গ্রাম
|
৫
|
আদা বাটা
|
৫০ গ্রাম/২ চা চামচ
|
১২
|
কাচা মরিচ
|
৫/৬ টি
|
৬
|
রসুন বাটা
|
২৫ গ্রাম/১ চা চামচ
|
১৩
|
ঘি/ তেল
|
২৫০ গ্রাম
|
৭
|
হলুদ বাটা
|
১০ গ্রাম /২ চা চামচ
|
১৪
|
পানি
|
৩ কেজি
|
রান্নার নিয়ম :
১) চাল,
ডাল, ধুয়ে বাটা মশলা, তেজপাতা ও পানি হাঁড়িতে দিয়ে চুলায়
চাপিয়ে দিন। ফুটে উঠার ৩০ মিনিট পরে লবণ দিন। চাল, ডাল, সিদ্ধ হলে এবং পানি শুকালে নাড়তে থাকুন
২) কয়েকটি পিঁয়াজ মোটা করে ছিলে ছেচে দিন
৩) খিচুড়ি ঘন হলে পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও
জিরা দিয়ে ৩ - ৪ মিনিট পর চুলা থেকে নামান। হাঁড়ির
মুখখোলা রাখুন
৪) বাকী পিঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে বেরেস্তা করুন ঘিসহ বেরেস্তা খিচুড়িতে
দিয়ে
মিশান। হাঁড়ির মুখ সামান্য খোলা
রেখে ঢাকুন।
( বিঃ দ্রঃ খিচুড়িতে
নানা রকম সব্জি যেমন- ফুল কপি, মটরশুটি, আলু ইত্যাদি দেয়া যায় )
সবজি রান্না
ক্রমিক
|
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
ক্রমিক
|
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
১
|
আলু
|
৫০০ গ্রাম
|
৯
|
জিরা বাটা
|
৫ গ্রাম বা ১ চা চামচ
|
২
|
পটল
|
২৫০ গ্রাম
|
১০
|
পেয়াজকুচি
|
১০০ গ্রাম
|
৩
|
মিষ্টি কুমড়া
|
১টা ছোট
|
১১
|
আদা বাটা
|
৫০ গ্রাম/২ চা চামচ
|
৪
|
বেগুন
|
৫০০ গ্রাম
|
১২
|
রসুন বাটা
|
৫০ গ্রাম/২ চা চামচ
|
৫
| পেঁপেঁ |
১ কেজি
|
১৩
|
হলুদ বাটা
|
১০ গ্রাম/২ চা চামচ
|
৬
|
কাঁচ কলা
|
২টা
|
১৪
|
ধনে বাটা
|
১০ গ্রাম/২ চা চামচ
|
৭
|
পাঁচ ফোড়ন
|
১ চা চামচ
|
১৫
|
মরিচ বাটা
|
১০ গ্রাম/২ চা চামচ
|
৮
|
তেল
|
১০০ গ্রাম
|
১৬
|
লবণ
|
৫০ গ্রাম
|
রান্নার নিয়মঃ
১) সব সব্জি ধূয়ে খোসা ছাড়িয়ে টুকরা করুন ।
২) মসলাসহ
মিষ্টি কুমড়া ও বেগুন বাদ দিয়ে সব সব্জি আধা সিদ্ধ হলে বেগুন ও মিষ্টি কুমড়া দিন।
সব্জি সিদ্ধ হলে লবণ দেখে নামান।
৩) তেলে
ফোঁড়ন দিয়ে ঘন্টো ছেড়ে দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
মাছের তরকারী রান্না
ক্রমিক
|
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
ক্রমিক
|
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
১
|
মাছ রুই, কাতলা বা কৈ)
|
১ কেজি
|
৫
|
জিরা বাটা
|
১০ গ্রাম /২ চা চামচ
|
২
|
মরিচ বাটা
|
১০ গ্রাম / ২ চা চামচ
|
৬
|
লবণ
|
৫০ গ্রাম/৮ চা চামচ
|
৩
|
পিঁয়াজ বাটা
|
১০০ গ্রাম
|
৭
|
তেল
|
১০০ গ্রাম
|
৪
|
হলুদ বাটা
|
২০ গ্রাম /৪ চা চামচ
|
৮
|
সব্জি (পছন্দ অনুযায়ী) আন্দাজমত
|
৫০০ গ্রাম
|
রান্নার নিয়ম :
১। মাছ
টুকরা করে কেটে ধুয়ে নিন। সব্জি ধুয়ে টুকরা করুন।
২। উনুনে
ডেকচি চাপিয়ে তেল দিন। তেল গরম হলে পিঁয়াজ কুচি ভেজে বাদামী করে অন্যান্য মশলা ও লবণ দিয়ে নাড়ূন এবং
সামান্য পানি ছিটা দিয়ে মশলা ভেজে নিন।
৩। মশলায়
মাছ ছেড়ে দিন। সাবধানে নাড়াচাড়া করে মাছ ভালভাবে কষিয়ে নিন
৪। কষানো
মাছ অন্য পাত্রে তুলে রাখুন। এবার সব্জিগুলো ঐ ডেকচিতে দিয়ে কষাতে হবে। সব্জি
সিদ্ধ হলে অল্প পানি দিন। ফুটে উঠলে মাছগুলি সিদ্ধ সব্জির উপর বিছিয়ে দিন।
৫। ডাকনা
খুলে রেখে কয়েক মিনিট জ্বাল দিন। পানি কমে গেলে ধনে পাতা অথবা জিরার গুড়া ছিটিয়ে
দিয়ে ডেকসি উনুন থেকে নামিয়ে ফেলুন।
মাছ না কষিয়ে অল্প ভেজেও ঐ একই নিয়মে রান্না করা যায়।
তাতে মাছ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
মাংশের ঝাল তরকারী রান্না
ক্রমিক
|
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
ক্রমিক
|
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
১
|
খাশীর মাংশ
|
১ কেজি
|
৯
|
লবণ
|
৫০ গ্রাম
|
২
|
আলু কিংবা অন্য কোন পছন্দমত তরকারী
|
৫০০ গ্রাম
|
১০
|
পিঁয়াজ কুচি
|
১০০ গ্রাম
|
৩
|
তেল
|
২০০ গ্রাম
|
১১
|
তেজপাতা
|
৪টা
|
৪
|
আদা বাটা
|
১০০ গ্রাম/ ৪ চা চামচ
|
১২
|
এলাচ
|
৪ টা
|
৫
|
রসুন বাটা
|
৫০ গ্রাম /২ চা চামচ
|
১৩
|
জিরা(গুড়া)
|
২ চা চামচ
|
৬
|
হলুদ বাটা
|
১০ গ্রাম /২ চা চামচ
|
১৪
|
দারচিনি
|
৩/৪ খন্ড
|
৭
|
ধনে বাটা
|
১০ গ্রাম /২ চা চামচ
|
১৫
|
লবঙ্গ
|
৩/৪ টি
|
৮
|
মরিচ বাটা
|
১০ গ্রাম /৪ চা চামচ
|
|
|
|
রান্নার নিয়ম :
১। প্রথমে মাংশ ধুয়ে ঝুড়িতে পানি ঝড়িয়ে রাখবেন।
২। আলু বা অন্য তরকারি টুকরো করে রাখবেন।
৩। লবণ এবং বাটা মশলা দিয়ে মাংশ মেখে ১০/১৫ মিনিট রাখুন।
৪। চুলোতে ডেকচি চাপিয়ে তেল ঢেলে দিন। তেল গরম
হলে কাটা পিঁয়াজ দিয়ে নাড়তে
থাকুন। পিঁয়াজ বাদামী হলে মশলা মাখা মাংশ ঢেলে দিন এবং
তেজপাতা ও গরম মশলা দিয়ে ঢেকে দিন।
৫। কিছুক্ষণ
পর পর ঢাকনা খুলে নাড়া দিন।
৬। মাংশের
পানি শুকিয়ে আসলে ঢাকনা খুলে ঘন ঘন নাড়তে থাকুন।
৭। মাংশ
ভাজা হলে তাতে ফুটানো পানি ঢেলে দিন।
৮। ফুটে উঠলে
আঁচ
কমিয়ে দিন। ৪০ মিনিট পর মাংশ যখন সিদ্ধ হয়ে আসবে তখন আলু দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন।
ডাল রান্না
ক্রমিক
|
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
ক্রমিক
|
উপকরণ
|
পরিমাণ
|
১
|
মুসুরীর ডাল
|
২০০ গ্রাম
|
৬
|
আদা বাটা
|
১
চা চামচ
|
২
|
রসুন কুচি
|
২টা
|
৭
|
তেজপাতা
|
২টা
|
৩
|
পিঁয়াজ কুচি
|
৪টা
|
৮
|
লবণ
|
২ চা চামচ
|
৪
|
কাচা মরিচ
|
৪টা
|
৯
|
পানি
|
২ কেজি
|
৫
|
হলুদ বাটা
|
২ চা চামচ
|
১০
|
তেল
|
৫০ গ্রাম
|
রান্নার নিয়ম :
১। ডাল ঝেড়ে বেছে নিন। ডেকচিতে পরিমাণমত পানি
চাপিয়ে দিন।
২। ডাল
ধুয়ে পানিতে দিয়ে দিন। ডাল ফুটে উঠলে অর্ধেক পিঁয়াজ
কুচি ও তেল রেখে সব মশলা দিয়ে দিন। আঁচ এমনভাবে রাখুন যেন
ডাল ফুটতে থাকে।
৩। ডাল
ভালভাবে সিদ্ধ হলে ঘুটনি দিয়ে ঘুটে দিন।
৪। অন্য
হাঁড়িতে তেল গরম করে পিঁয়াজ
কুচি বেরেস্তা করে তেলসহ ডালে দিন।
ডাল ফুটলে নামিয়ে নিন।
চা তৈরি
উপকরণ : (১) পানি, (২),
চা পাতা, (৩) চিনি, (৪) দুধ (ঘন করে নিতে
হবে )
চা তৈরির নিয়ম :
১) যত
কাপ চা তৈরি করা হবে তত কাপ পানি
নিয়ে উনুনে চাপান।
২) পানি ফুটে উঠলে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন ।
৩) ১ মিনিট পর যতকাপ পানি তত চামচ চা পাতা দিন।
নাড়া দিয়ে ঢেকে উনুন থেকে নামিয়ে ১ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৪) এবার ছেকে পছন্দমত দুধ ও চিনি দিন।
৫) লিকার ঘন করলে পাতা একটু বেশী দিতে হবে।
আবার লিকার পাতলা করলে পাতা একটু কম দিতে হবে। হালকা লিকারে লেবু দিয়ে অথবা আদা
দিয়ে খেতে ভাল হয়।
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য
:
* স্কাউটদের নিকট তাঁবু বাসের গুরুত্ব
অপরিসীম। তাঁবু বাস সাধারণত বনে জংগলে হয়ে থাকে কাজেই সেখানে স্কাউটদেরকে রান্না
করে খেতে হয়। রান্না শিক্ষা করা স্কাউটদের জন্য অপরিহার্য। রান্না শিক্ষার শেষে
তিন/পাঁচ তাঁবু বাসের একটি পূর্ণাংগ
খাদ্য তালিকা তৈরী করতে বলুন।
ডাইনিং এরিয়া
জীবন
গঠন ও জীবন উপভোগের জন্য উত্তম স্বাস্থ্য ও শক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাস্থ্য বিধি বিষয়ে
কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে এমন কিছু করতে পারে যা নাগরিক হিসাবে তাদের যোগ্যতার জন্য
বিশেষ দরকার। তাই তাঁবুতেই বাস করতে কয়দিন স্কাউটরা যাপন করবেন সেই সম্পর্কে
এখানে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাঁবু বাস বা ক্যাম্পিং যে স্কাউটিংয়ের
কেন্দ্রীয় চরিত্র বা মূখ্য বিষয় তা সকল স্কাউটদের জানার আর অবকাশ নাই। সুতরাং
ক্যাম্পিং-ই-হচ্ছে স্কাউটিংয়ের মূখ্য চরিত্র।
বর্ণনা :
তাঁবু এলাকার সামনে এবং পেছনের দুইটি
দিক থাকে। তাঁবু
এলাকার পিছনে এমন একটি স্থানে একটি টেবিল গ্যাজেট আকারে সাজাতে হবে। যাতে ছয়জন কাব
এবং একজন ইউনিট লিডার ও সহকারী ইউনিট লিডার তাদের আহার করতে পারে। টেবিলের দুই
পাশে তিন জন অপর দুই পাশে তিন জন মোট ছয় জন বসবে এবং একপার্শ্বে ইউনিট লিডার ও
অন্য পাশে সহকারী ইউনিট লিডার বসে সহজে কাবদের নিয়ে খেতে পারে। ডাইনিং এরিয়ার
মধ্যে আরো থাকবে আহারের সরঞ্জামাদির গ্যাজেট। উক্ত গ্যাজেটে আহারের উপকরণগুলো
সাজিয়ে রাখতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন