খনার বচন
গাছ যদি হয় তাজা মোটা
তাড়াতাড়ি ধরবে গোটা।
বীজ আনো খুঁজি
নয় যাবে পুঁজি।
গুয়ায় গোবর, বাঁশে মাটি
অফলা নারকেলের শিকড় কাটি।
গাই গেল হালে
দুধ উঠল
চালে।
উঠান
ভরা লাউ-শশা
খনা বলে লক্ষীর দশা।
ধনের
মাধ্যে ধান, আর ধন হলো গাই
সোনা রূপা কিছু কিছু,
আর সব ছাই।
ভরা
হতে শূণ্য ভালো, যদি ভরতে যায়
আগে হতে পিছে ভালো,
যদি ডাকে মায়।
থেকে
বলদ না বয় হাল
তার দুঃখ চিরকাল।
গুয়ায়
গোবর, বাঁশে চিটা
কাট দাদা, কাটিসনা বেটা।
ধরলে
পোকা দিবি ছাই
এর ভালো আর কিছুই
নাই।
তাল
বাড়ে ঝোপে
খেজুর বাড়ে কোপে।
তিনশ
পঁয়ষট্টি কলা রুয়ে
থাকবে চাষা ঘরে শুয়ে।
দাতার
নারিকেল, বখিলের বাঁশ
কমে না কোন কালে- বাড়ে
বারোমাস।
ক্ষেত
আর পুত
যত্ন বিনে যমদূত।
বাঁশ
মরে ফুলেতে
মানুষ মরে ভুলেতে।
আগিয়ে
দক্ষিণ পা
যেথা ইচ্ছা সেথা যা।
নারিকেল
বার হাত, সুপারী আট
এর থেকে ঘন হলে তখনই
কাট।
সকল
গাছ কাটি কুটি
কাঁঠাল গাছে দেই
মাটি।
কলা
রুয়ে না কাট পাত
তাতেই কাপড়, তাতেই
ভাত।
দশেক
ধেনু হাজার কলা
কি করবে আকাল শালা।
হাতে
হাত ছোঁয়’না
মরা ঝাটি রয়না, নারিকেল ময়না।
হাত
বিশেক করি ফাঁক
আম কাঁঠাল পুতে রাখ।
গরু
ছাগলের মুখে বিশ
চারা না খায় রাখিস
দিশ।
শোনরে
মালি, বলি তোরে
কলম রো শাওনের ধারে।
চাষার পো জাগবে আগে
তারপর সুরুজ জাগে।
বার বছরে ফলে তাল
যদি
না লাগে গরুর নাল।
গাই
কিনবে দুয়ে
বলদ কিনবে বেয়ে।
বুড়া
গরু, ঝরা ধান
যে
বেচে, সেই সেয়ান।
নিজে মুর্খ, পুত নষ্ট
এর চাইতে কি আর কষ্ট?
সবল গরু গভীর চাষ
তাতে
পুরে চাষার আশ।
গাছের মরিল আগ
গেরস্তের গেল ভাগ।
গরুর পিঠে তুললে হাত
গেরস্তে
কভু পায়না ভাত।
দক্ষিণ
দুয়ারী ঘরের রাজা
পূর্ব দুয়ারী তাহার প্রজা,
পশ্চিম দুয়ারীর মুখে ছাই
উত্তর দুয়ারীর খাজনা নাই।
খাটে
খাটায় লাভের গতি
তার অর্ধেক কাঁধে
ছাতি,
ঘরে বসে পুছে বাত
তার কপালে হা-ভাত।
পুবে
হাঁস, পশ্চিমে বাঁশ
উত্তরে কলা, দক্ষিণে খোলা।
খাই
বসিলে বড়ই পেট
খাই খাইলে যমের ভেট।
চাষার বলে দেশটা নাচে
সোন ফলে গাছে গাছে।
গরুর মুখে দিয়ে ঘাস
তার
পরে করবে চাষ।
মাংস খেলে মাংস বাড়ে, দুধে বাড়ে বল
ঘিয়ে বাড়ে মস্তিষ্ক, শাকে
বাড়ে মল।
ভরা পেট খায়
মরন পাছে যায়।
সকাল শোয়, সকাল ওঠে
তার কড়ি না বৈদ্য লুটে।
আলো হাওয়া বেঁধোনা
রোগে
ভোগে মরোনা।
বারো মাসে বারো ফল
না খাইলে যায় রসাতল।
আনারসের কচিপাতা করে কৃমিনাশ
ফলের
রসেতে হয় আমাশয় বিনাশ।
পাতার কষে, গাছের রসে
সকল রোগের ওষুধ আছে।
কৃমি যদি সারাতে চাও
কদম
পাতার রস খাও।
ফল- সকালে খাওয়া সোনা,
দুপুরে খাওয়া রূপা,
সাঁঝে খাওয়া লোহা।
থানকুনির পাতার কষে
আমাশয়ের
ওষুধ আছে।
নিত্য নিত্য ফল খাও
বদ্যি বাড়ি নাহি যাও।
নিম তিতা, নিশিন্দা তিতা, তিতা পীতরাজ
সর্বরোগের ওষুধ ধরে
তাইতো কবিরাজ।
কালাজ্বর
সারায় কালোমেঘের রস
যকৃতের দোষ সারায় দন্ডকলস।
বেল
খেয়ে খায় পানি
জির (কৃমি) বলে মইলাম
আমি।
গাছ
যত তিতা
বাতাস তত মিঠা।
সারায়
কাশি তুলশির রস
জ্বরের ওষুধ শিউলীর
কষ।
বাসক
পাতার এমন গুণ
পুরানো কাশে ধরে ঘুন।
বেঁধে
রাখ কদম পাতা
সেরে
যাবে যত ব্যাথা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন