ব্যান্ডেজ
লিন্ট,
প্যাড বা স্প্লিন্ট যথাস্থানে স্থিরভাবে রাখার জন্য ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়।
রক্তক্ষরণ বন্ধ, স্ফীতি রোধ, রোগী স্থানান্তরের সুবিধা ইত্যাদি কারণেও
ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়। ব্যান্ডেজ ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে ক্ষতস্থানের
উপর যেন ব্যান্ডেজের গেরো না পড়ে। দেহের বিভিন্ন স্থানের অস্থি ভঙ্গ
বা ক্ষতের জন্য বিভিন্নভাবে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হয়।
ব্যান্ডেজ
দুই ধরনের
হয়ে থাকে :
(১) রোলার ব্যান্ডেজ : গোল করে জড়ানো কাপড়ের যে ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা
হয় সেটাকে রোলার ব্যান্ডেজ বলা হয়।
রোলার
ব্যান্ডেজ সাধারণতঃ ১ ইঞ্চি-৬ ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতলা কাপড়ের সাহায্যে রোলার
ব্যান্ডেজ তৈরী করা হয়। আহত অংগের আকৃতির উপর ভিত্তি করে রোলার ব্যান্ডেজের সাইজ
নির্ধারণ করা হয়। রোলার ব্যান্ডেজের যে অংশ খোলা থাকে তাকে মুক্ত প্রান্ত এবং
জড়ানো অংশকে শীর্ষ বলে।
রোলার
ব্যান্ডেজ বাধার নিয়ম
:-
১. মুক্ত প্রান্ত
কিছু
বাড়তি রেখে আহত স্থানের উপর স্থাপন করে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হয়।
২. নীচ থেকে উপর দিকে ব্যান্ডেজ বাঁধতে হয় এবং বাইরের দিক থেকে এনে সামনের দিকে রিফনট দিয়ে
শেষ করতে হয়।
৩. ব্যান্ডেজের প্রতি স্তর যেন পূর্বের স্তরের
অন্ততঃ দুই তৃতীয়াংশ ঢেকে রাখে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪. ব্যান্ডেজ বাধার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশী শক্ত করে
বাধা না হয়।
(২) ত্রিকোণী ব্যান্ডেজ :
৩৮ ইঞ্চি বা ১ মিটার
দৈর্ঘ প্রস্থের একখন্ড কাপড়কে কোনাকুনিভাবে কাটলে ২টি ব্যান্ডেজ তৈরী হয়ে যায়।
ত্রিকোণী
ব্যান্ডেজ ভাঁজভেদে
তিন প্রকার। যথা-
(ক) ফুল সাইজ ব্রড ব্যান্ডেজ : যখন পূর্ণ ত্রিকোণ ব্যান্ডেজটি কোন ভাঁজ না দিয়ে ব্যবহার করা
হয় তখন তাকে ফুল সাইজ ব্রড ব্যান্ডেজ বলা হয়।
(খ) ওয়ান ফোল্ড ব্রড ব্যান্ডেজ : যখন একটি ত্রিকোণ
ব্যান্ডেজকে অর্ধেক ভাঁজ করে এমনভাবে স্থাপন
করা হয় যে ব্যান্ডেজের শীর্ষ ভূমি স্পর্শ করে তখন তাকে ওয়ান ফোল্ড বা এক ভাঁজ ব্যান্ডেজ বলা হয়।
(গ) টু ফোল্ড ব্রড ব্যান্ডেজ : ওয়ান ফোল্ড ব্যান্ডেজকে আরো এক ভাঁজ করা হলে তাকে টু ফোল্ড ব্রড ব্যান্ডেজ বা দুই ভাঁজ চওড়া ব্যান্ডে বলা হয়।
(ঘ) ন্যারো বা সরু ব্যান্ডেজ : চওড়া ব্যান্ডেজকে দুইয়ের অধিক যত ভাঁজই করা হোক না কেন তাকে ন্যারো ব্যান্ডেজ বা সরু ব্যান্ডেজ বলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন