প্রাথমিক প্রতিবিধান :
ক) প্রাথমিক প্রতিবিধান কাকে বলে তা
বলতে পারা।
উত্তর : সাধারণভাবে কোন আহত বা
অসুস্থ ব্যক্তিকে ডাক্তার আসা অথবা ডাক্তারের নিকট পৌঁছানোর পূর্ব পর্যন্ত যে সেবা
দেয়া হয়, তাকেই প্রাথমিক প্রতিবিধান বলে।
অন্যভাবে বলা যায়, যে জ্ঞান দ্বারা
ডাক্তারের সাহায্য পাওয়ার আগ পর্যন্ত কোন আহত বা অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্যের পথ সুগম
করতে এবং অবস্থার যাতে আর অবনতি না হয় তার ব্যবস্থা করতে পারা যায় তাকেই প্রাথমিক
প্রতিবিধান বলে। এর জন্য কিছু জিনিস হাতের কাছে রাখা দরকার। যেমন- ব্যান্ডেজ,
টিংচার আয়োডিন, তুলা, ডেটল বা স্যাভলন, প্রাথমিক প্রতিবিধান বাক্স। আর যিনি
প্রাথমিক প্রতিবিধান কাজে অংশ নেন তিনি প্রাথমিক প্রতিবিধানকারী।
খ) ব্যান্ডেজ কত প্রকার ও কি কি তা
বলতে পারা।
উত্তর : লিন্ট, প্যাড বা স্প্লিন্ট
যথাস্থানে রাখা এবং ভগ্নাস্থি স্থির করে রাখার জন্য ব্যান্ডেজ ব্যবহার করা হয়। ব্যান্ডেজ
সাধারণতঃ দুই প্রকার। যথা- (১) রোলার
ব্যান্ডেজ (২) ত্রিকোণ ব্যান্ডেজ।
গ) সাধারণ ক্ষতের ড্রেসিং দিতে পারা।
উত্তর : কোন ক্ষত স্থানে যে আবরণ বা
আচ্ছাদন দেয়া হয় তাকে ড্রেসিং বলে। আর লিন্ট হলো ঔষধযুক্ত ও জীবাণুমুক্ত একখণ্ড
কাপড়। যদি কারো হাত বা পা কেটে যায় তাহলে কতটুকু কেটেছে তা জানা খুব দরকার। প্রথমে
ক্ষতস্থানে স্যাভলন বা ডেটল মিশানো পানি দিয়ে জায়গাটা ধুতে হবে। যদি তা না থাকে
তবে শুধু ফুটানো ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এবারে এন্টিবায়োটিক মলম পরিস্কার
নরম কাপড় বা তুলা দিয়ে ঐ স্থানে লাগাতে হবে। যদি ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ে তখন ক্ষত
স্থানটা তুলা দিয়ে জোরে চেপে ধরে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
ঘ) সামান্য কেটে গেলে করণীয় কর্তব্য
সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করা।
উত্তর : সামান্য কেটে গেলে স্যাভলন
সামান্য পরিমান নিয়ে বিশুদ্ধ পরিস্কার পানিতে মিশিয়ে স্থানটি পরিষ্কার করতে হবে
তারপর তুলার সাহায্যে প্রয়োজনমত এন্টিসেপটিক মলম লাগাতে হবে। প্রয়োজনে পরিস্কার
কাপড় দিয়ে জায়গাটি বেঁধে রাখতে হবে।
ঙ) বাসার কাছের একজন ডাক্তারের
ঠিকানা/বাসা, চেম্বার চেনা এবং ঐ ডাক্তারের মোবাইল নম্বর জানা।
উত্তর : ডাঃ দেবাশীষ শর্মা, এমবিবিএস
জনতা ফার্মেসী, পুরাতন বাস স্টেন্ড, সুনামগঞ্জ।
মোবাইল নম্বর : ০১৭১৫০২০৯৫০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন