৩. নিরাপত্তা :
ক) নিকটস্থ থানার অবস্থান ও টেলিফোন
নম্বর জানা।
থানা
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সুনামগঞ্জ। ফোন নম্বর : ৬২৬২২
সুনামগঞ্জ
মডেল থানা, ফোন নম্বর : ৬২৬২২
খ) নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের
অবস্থান ও টেলিফোন নম্বর জানা।
ফায়ার
সার্ভিস,
ষোলঘর,
সুনামগঞ্জ। ফোন নম্বর : ৬১৯৯৯
গ) উল্লেখিত ২টি প্রতিষ্ঠানের
সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম সম্পর্কে জানা।
সুনামগঞ্জ
সদর উপজেলার আয়তন ২৯০.৭১ বর্গ কিমি. এবং জনসংখ্যা ২,৭৯,০১৯ (আদমশুমারী ২০১১); ১,৩৯,৫৬১ জন পুরুষ, ১,৩৯,৪৫৮
জন মহিলা । । সুনামগঞ্জ মডেল থানার কাজ হচ্ছে
উপজেলার সকল মানুষের নিরাপত্তা বিধান এবং উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ফায়ার
সার্ভিস বা দমকল এর প্রধান কাজ হচ্ছে আগুন নেভানো এবং আগুন থেকে নিরাপত্তা বিধান।
এছাড়া যে কোন দুর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা করা
ঘ) রাস্তায় চলাচলের নিয়ম বলতে পারা।
১. ফুটপাত
দিয়ে হাঁটতে হয়, ফুটপাত না থাকলে রাস্তার ডান পাশ দিয়ে হাঁটতে হয়।
২. রাস্তা
পারাপারের সময় প্রথমে ডানে, পরে বামে এবং উভয় পাশে ভালভাবে দেখে রাস্তা পার হতে হয়।
৩. বড় শহরে
জেব্রা ক্রসিং থাকে, জেব্রা ক্রসিং ধরে রাস্তা পার হতে হয়।
৪. ট্রাফিক
সিগনালে লাল বাতি জ্বললে গাড়ি থামে, তখন রাস্তা পার হতে হয়।
৬. সবুজ
বাতি জ্বললে গাড়ি চলতে থাকে, তখন রাস্তা পার হতে নেই।
ঙ) ভূমিকম্প হলে তোমার করণীয় ৩টি
বিষয় সম্পর্কে বলতে পারা।
ভূমিকম্প
হলে সর্ব প্রথম যা করণীয় তা হল- মাথা ঠাণ্ডা রাখা, স্থির থাকা, উত্তেজিত না হওয়া,
আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়া।
আরও যা যা করণীয়-
বের হওয়ার ক্ষেত্রে :-
১.
হুড়ো-হুড়ি না করে সতর্কতার সাথে বের হওয়া;
২. খোলা
স্থানে অবস্থান নেওয়া;
৩. গ্যাস-এর
লাইন, ইলেকট্রিসিটির লাইন প্রভৃতি থেকে দূরে থাকা;
৪. জানালা
থেকে দূরে থাকা এবং
৫. দেয়াল
থেকে দূরে অবস্থান নেয়া।
যদি বের না হওয়া যায়-
১. হুড়োহুড়ি
না করা;
২. ঘরের
দরজা খুলে ঠিক দরজার নিচ বরাবর অবস্থান করা;
৩. গ্যাসের
চুলা এবং ইলেকট্রিসিটি বন্ধ করে দেওয়া;
৪. জানালা
হতে দূরে থাকা;
৫. কাঁচ এর
জিনিস, যেমন- ফুলদানি, শো-কেস, ড্রেসিং টেবিল প্রভৃতি থেকে দূরে থাকুন;
৬. ঘরের যে
কোন ভরী দ্রব্য, যেমন- টেবিল বা খাট এর নিচ বরাবর অবস্থান নেওয়া;
৭. ইটের গাঁথুনির পাকা ঘর হলে- ঘরের
কোনায়, কলাম ও বিমের তৈরি ভবন হলে- কলামের গোড়ায় আশ্রয় নেওয়া;
৮. ঘরে হেলমেট জাতীয় কিছু থাকলে
দ্রুত নিজের মাথায় পরুন ও অন্যদের পরতে বলুন এবং
৯. বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটা ছোট
ভূমিকম্প হয় যাকে “আফটার শক’ বলে। এই আফটার শক এর জন্য সতর্ক থাকা।
চ) হারিকেনের চিমনি পরিষ্কার করে
হারিকেনে লাগাতে ও হারিকেন জ্বালাতে পারা।
অথবা- মোমবাতি জ্বালিয়ে ১৫ কদম মুক্ত
হাওয়ায় হাঁটতে পারা।
মোমবাতি
জ্বালিয়ে ১৫ কদম হাঁটা একেবারে সোজা কাজ নয়, এর জন্য অনুশীলন করতে হবে। বারবার
চেষ্টার পর একবার দেখবে তুমি জ্বলন্ত মোমবাতি নিয়ে মুক্ত বাতাসে ১৫ কদম হাঁটতে
পারছ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন