কী স্বপন দেখিলাম
আমি রাত্র নিশাকালেতে
উমা আইয়া কোলে
বইয়া মা বলিয়া ডাকতাছে।
থির থাকো মেনকা
গো শান্তি রাখো মনেতে
রজনী প্রভাত
অইলে যাইমু উমা আনিতে।
পুষ্প রথ সাজাই
গিরি; গিরি চলছে কৈলাসে
শঙ্খ ঘণ্টা বাদ্য
বাজে গিরি রাজার পুরীতে
দুই প্রহরের
পন্থ গিরি গেলা দুই দণ্ডেতে
কৈলাসে গিয়া
গিরি রথ থাইক্যা লাইম্যাছে।
পিতারে দেখিয়া
উমা আনন্দিত মনেতে
দণ্ডবৎ প্রণাম
কইলা পিতার যে চরণে
কও কও পিতা তুমি
মা নি আছৈন কুশলে?
তোমার লাগি মেনকায়ে
অন্ন জল ত্যাগিয়াছে।
কার্ত্তীক গণেশ
লইয়া মাঈ গো রথে উঠ ত্বরিতে।
জোড় হস্ত করিয়া
উমা উবাইন শিবের সাইক্ষাতে
আইজ্ঞা করো সদাশিব
আমি যাইতাম নাইওরে।
তুমি যে যাইতায়
উমা তোমার বাপের বাড়িতে
কার্ত্তীক গণেশ
দুইটি শিশু না দিমু আমি যে
লাজ নাই নিলজ্জা
শিব মুখে পাকনা দাঁড়ি যে
কোরের ছাবাল
ঘরে থইয়া কে যায় বাপের বাড়িতে?
তুমি যে যাইতায়
উমা তোমার বাপের বাড়িতে
বত্রিশ অলংকার
তুমি থইয়া যাইবায় ঘরেতে।
গিরিপুরের মাইনষে
তোমায় কইবা মন্দ যে
তুমি যে যাইতায়
উমা তোমার বাপের বাড়িতে
ক্ষিধা লাগলে
অন্ন আমায় কে দিব রান্ধিয়া তে?
ঘরে আছৈন ভৈন
যে গঙ্গা তাইন দিবা রান্ধিয়া যে।
তুমি যে যাইতায়
উমা বিছনা কইরা দিব কে?
ঘরে আছৈন ভৈন
গঙ্গা তাইন করিয়া দিবা যে।
তুমি যে যাইতায়
গো উমা তোমার বাপের বাড়িতে
আমার লাগি ভাং
ধুতুরা হস্তে করি আনিও তে
সপ্তমীতে যাও
গো উমা অষ্টমীতে তিষ্ঠিও
নবমীর পূজা খাইয়া
দশমীতে আইও।
শিবরে বুঝাইয়া
উমা রথে উঠো ত্বরিতে
কার্ত্তীক গণেশ
লইয়া উমা উঠিলা যে রথেতে
আরেক রথে গিরিরাজ
আইলা যে পুরীতে।
রথ থনে লামিয়া
উমা মা-রে প্রণাম কইলা যে
পিঠে হস্ত দিয়া
মায়ে আশির্বাদ কইলা যে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন