ম্যানার্স এন্ড এটিকেট
(আচার-আচরণ ও শিষ্টাচার)
আচার-আচরণ, আদব-কায়দা, ভদ্রতা, শিষ্টতা, বিনয় প্রভৃতির মাধ্যমে একজন মানুষের চরিত্র ফুটে উঠে। এসবের ভাল দিকগুলো সকলের কাছে প্রশংসনীয় হয় আর মন্দ দিকগুলো যার মধ্যে প্রতিফলিত হয় তার গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। আচার-আচরণ ও শিষ্টাচার একটি আপেক্ষিক বিষয়। কোনো মানুষের বংশধারা, আর্থিক অবস্থা, পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান, ধর্মীয় ও পেশাগত অবস্থান ইত্যাদির কারণে এর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। সকল পেশায় নিয়োজিত প্রতিটি মানুষেরই সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনই নৈতিকতা। মূল্যবোধ বিবেচনা করে যিনি কাজ করেন তিনিই নৈতিক দিক দিয়ে উন্নত। উপযুক্ত পরিবেশ ও শিক্ষা এবং যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণই একজন ব্যক্তিকে এ সকল গুণাবলিতে সমৃদ্ধ করতে পারে।
আচার-আচরণের মাধ্যমেই ব্যক্তির নৈতিকতা প্রকাশ পায়। সততা, শিক্ষা, ন্যায়পরায়ণতা,
শৃঙ্খলাবোধ সম্মিলিতভাবে যে গুণটির জন্ম দেয় তা-ই নৈতিকতা। একজন স্কাউটার তার দাপ্তরিক
কিংবা সমাজিক কার্যাদি সম্পাদনে ভাল-মন্দ যাচাই করে চলবেন এটা সবারই প্রত্যাশা। উন্নত
ও কার্যকর প্রশাসনের জন্য নৈতিকতা এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নীতি বহির্ভূত ব্যক্তি সমাজ
বা রাষ্ট্রের জন্য কলঙ্ক। এতে দাপ্তরিক, রাষ্ট্রীয় এবং সমাজ জীবন বিষময় হয়ে উঠে। সুতরাং
একজন স্কাউটার নীতি বিরুদ্ধ কোনো কাজ করবেন না বলেই স্কাউটস কর্তৃপক্ষ তাঁকে উপযুক্ত
পদমর্যাদা দিয়েছেন। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ টিমের সদস্যদের এ বিষয়টি মূল্যায়ন কল্পে তাঁদের
দৈনন্দিন কার্যকলাপ এমনকি প্রতিটি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রশিক্ষণ চলাকালে গোপনীয় প্রতিবেদনে
প্রতিফলন ঘটাতে হয়।
শিষ্টাচার মানে ভদ্রতা বা সৌজন্যবোধ। রীতিনীতি
ও শিষ্টাচার সমাজবদ্ধ মানুষের জন্য নিতান্ত প্রয়োজনীয়। একজন স্কাউটারের জন্য শিষ্টাচারের
বিষয়টি অপেক্ষাকৃত অধিক মাত্রায় প্রত্যাশা করা হয়। “শিষ্টাচার হলো যা না হলেই নয় তার
চেয়ে ভালভাবে নিজেকে উপস্থাপিত করা”। একজন স্কাউটার স্কাউট প্রতিজ্ঞা ও স্কাউট আইনের
প্রতি আস্থাশীল হবেন। ৩ নম্বর স্কাউট আইন হচ্ছে, “স্কাউট বিনয়ী ও অনুগত”। একজন স্কাউটার,
তিনি জ্যেষ্ঠ বা কনিষ্টই হোন অন্যের প্রতি বিনয়ী ও বিবেচনাপূর্ণ ব্যবহার করবেন- এটাই
প্রত্যাশা করা হয়। এতে তাঁর পদ এবং অবস্থানের স্বীকৃতি মেলে। একজন স্কাউট বা স্কাউটার
তাদের আচরণ সম্পর্কিত উন্নত মানসিকতার পরিচয় দেবেন এটা ভাবাই স্বাভাবিক।
# দাপ্তরিক কাজে শিষ্টাচার :
একজন স্কাউটারের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে
তাঁর আচার-আচরণ ও শিষ্টাচারের উপর। অর্পিত দায়িত্বের প্রতি মনোযোগী, কাজের প্রতি ইতিবাচক
মনোভাব প্রকাশ করা, চেইন অব কমান্ড মেনে চলা ইত্যাদি দাপ্তরিক শিষ্টাচারে উল্লেখ করা
যায়। দাপ্তরিক কাজে কতিপয় পালনীয় বিষয় নিম্নরূপ :
Ø দাপ্তরিক কাজ বা
গোপন তথ্যাদির যথাযথ সংরক্ষণ একজন আদর্শ স্কাউটারের আবশ্যকীয় গুণ;
Ø একজন স্কাউটার তার
ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গকে সম্মান প্রদর্শন করবেন এটা খুবই স্বাভাবিক প্রত্যাশা;
Ø হাঁটা-চলার মধ্যেও
শিষ্টাচার রয়েছে। হাঁটার সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পাশাপাশি
হাঁটা শ্রেয়। কখনও অগ্রবর্তী হওয়া ঠিক নয়;
Ø ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
অফিস কক্ষে এলে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানানো উচিত;
Ø ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
বেআইনী আদেশ দিলে বা কাজ করতে বললে নিজের বুদ্ধি বিবেচনা ও দৃঢ়তা নিয়ে সে কাজ থেকে
বিরত থাকা এবং বিনয়ের সাথে অপারগতা জানানো উচিত;
Ø ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার
সাথে কথা বলার সময় পকেটে হাত রাখা, দাঁত দিয়ে নখ কাটা, পা দোলানো অসৌজন্যতা;
Ø অন্য কর্মকর্তার
টয়লেট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার না করা ভাল;
Ø সিনিয়রদের সাথে অযথা
তর্ক না করে বিনয় ও শ্রদ্ধার সাথে নিজের মতামত তুলে ধরা বাঞ্চনীয়;
Ø নতুন কর্মস্থলে যোগদানের
পর অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করা;
Ø নতুন কর্মস্থলে যোগদানের
পর পরই সেখানকার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা;
Ø ব্যস্ততার কারণে
কাউকে সাক্ষাৎকার দিতে না পারলে বিনয়ের সাথে তা জানিয়ে দেয়া।
# সামাজিক শিষ্টাচার :
একজন স্কাউটার দাপ্তরিক জীবনের বাইরেও সামাজিক
জীবন নির্বাহ করেন। তাঁকে সামাজিকভাবে অন্যের সাথে মেলামেশা করতে হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে
একজন স্কাউটারের আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ মার্জিত হওয়া আবশ্যক। এ সকল ক্ষেত্রে প্রতিটি
স্কাউটার এবং তাঁদের পরিবারের পক্ষ হতেও সামাজিকভাবে আন্তরিকতা ও সহযোগিতা প্রত্যাশা
করা হয়। নিজের সন্তান-সন্ততির প্রতিও কতিপয় আচরণ অনুসরণ করতে হয়। অনেক অনুষ্ঠানাদিতে
শিশুরা বা কিশোররা আমন্ত্রিত হয় না। এ সকল ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়েদের উক্ত অনুষ্ঠানে নিয়ে
যাওয়া উচিত নয়। কোনো কোনো ছেলে-মেয়ের উপস্থিতি মূল অনুষ্ঠানের গাম্ভীর্য বিনষ্ট করে
দেয়।
সামাজিক
শিষ্টাচারের কতিপয় করণীয় :
ü সকলের সাথে সদ্ভাব
রাখার চেষ্টা করা;
ü যথাযথ সতর্কতার সাথে
বন্ধু/সাথী নির্বাচন করা;
ü নিজের সামর্থের মধ্যে
থেকে সামাজিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করা;
ü বিজ্ঞ ব্যক্তিদের
সাহচর্য লাভ করা;
ü গঠনমূলক সমালোচনার
প্রতি সহনশীল হওয়া;
ü অপেক্ষারত সাক্ষাৎপ্রার্থী
সামনে বসা থাকলে ফোনে কথা সংক্ষিপ্ত করা;
ü ফোন রিসিভ করে প্রথমেই
নিজের পরিচয় দেয়া এবং শ্রোতা কথা বলার সময় দিতে পারেন কি না তা জানা;
ü কাজ শেষে সহকর্মীকে
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা;
ü ভ্রমণ শেষে সহযাত্রীদের
কাছ থেকে সৌজন্য বিদায় নেয়া;
ü সহকর্মীদের বিপদে
সহানুভূতি প্রদর্শন করা।
# মহিলাদের প্রতি শিষ্টাচার :
কোনো ভদ্র মহিলাকে
দণ্ডায়মান রেখে কোনো ভদ্র লোকের আসন গ্রহণ না করা;
মহিলা সহকর্মীর প্রতি
এমন কোনো আচরণ না করা যার প্রেক্ষিতে তিনি অস্বস্তিকর বা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন
হন;
মহিলাদের প্রতি চারিত্রিক
দুর্বলতা প্রদর্শন না করা;
মহিলা ও পুরুষ সহযোগিদের
সমান গুরুত্ব দেয়া;
মহিলাদের প্রতি যথাযথ
সম্মান প্রদর্শন করতে হবে, ঊর্ধ্বতন, অধঃস্তন বা সহকর্মীদের স্ত্রীদের (স্কাউটার/অফিসার
যদি বসে থাকেন) দাঁড়িয়ে সম্মান দেখাতে হবে। প্রয়োজনে নিজের জায়গা ছেড়ে বসার সুযোগ দিতে
হবে;
কোনো মহিলার সাথে
হ্যান্ডশেক না করাই ভাল, তবে মহিলা হাত বাড়িয়ে দিলে হ্যান্ডশেক করাটাই শিষ্টাচার;
কোনো অধূমপায়ী বা
মহিলার সামনে ধূমপান করতে হলে অনুমতি নেয়া উচিত;
কোনো মহিলাকে একা
রেখে সভাস্থল ত্যাগ করা ঠিক নয়।
# স্কাউটারের পোশাক-পরিচ্ছদে শিষ্টাচার :
v পোশাকের ব্যাপারে
বাংলাদেশ স্কাউটস এর ‘গঠন ও নিয়ম’ এর নির্দেশাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
v আনুষ্ঠানিক ও নৈমিত্তিক
পোশাক কী তা বুঝতে হবে;
v সাধারণত কোনো কোর্স
কিংবা স্কাউটস অনুষ্ঠানে যথাযথভাবে স্কাউটস পোশাক পরিধান করতে হয়; তবে কর্তৃপক্ষের
নির্দেশ অনুযায়ী পোশাক পরিধান করতে হবে;
v পোশাক অবশ্যই মার্জিত
রুচি ও ব্যক্তিত্ব বহনকারী হতে হবে।
# পোশাক সম্পর্কে যা বর্জনীয় :
§ চপ্পল, স্যান্ডেল
বা মোজা ছাড়া জুতা;
§ ফুলহাতার আস্তিন
গুটানো;
§ অপরিচ্ছন্ন কাপড়;
§ পায়জামা-পাঞ্জাবী
না পরা, পায়জামা-পাঞ্জাবী পরলে আচকান পরতে হবে;
§ খেয়াল মাফিক অলঙ্কারযুক্ত,
নকশা করা চকচকে পোশাক না পরা;
§ তাঁবুতে লুঙ্গি/ম্যাক্সি
পরে কাজ না করা, ট্রাউজার ও টি-শার্ট/কামিজ ও সালোয়ার পরা যেতে পারে।
# আনুষ্ঠানিক সভা/ভোজ সভায় শিষ্টাচার :
o
যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকতে হবে;
o
অনুষ্ঠানে কথাবার্তা, ব্যবহার ও বেশভূষায় মার্জিত রুচির পরিচয়
দিতে হবে;
o
পোশাকের ব্যাপারে ‘গঠন ও নিয়ম’ এর নির্দেশাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ
করতে হবে;
o
প্রধান অতিথি আসন গ্রহণের পর আসন গ্রহণ, খাবার শুরু করার পর
খাবার শুরু করতে হবে;
o
প্রধান অতিথি যখন খাবার শেষ করবেন, অভূক্ত থাকলেও তাৎক্ষণিকভাবে
খাবার শেষ করতে হবে;
o
কোনো কারণে সভায় না গেলে অপারগতার কারণ আগেই জানিয়ে দিতে হবে;
o
কোনো আলোচনা বা মিটিংয়ে সভাপতির অনুমতিক্রমে কথা বলা ভদ্রতা
বা শালীনতা;
o
খাবার টেবিলে হাঁচি বা কাশি আসলে অতি সন্তর্পনে মুখটি অন্যদের
থেকে যতদূর সম্ভব ঘুরিয়ে মাথা নিচু করে ও মুখে রুমাল বা ন্যাপকিন দিয়ে হাঁচি বা কাশি
দিতে হবে। কথার মাঝখানে এ রকম হলে ‘ক্ষমা করবেন’ এ রকম উক্তি করা যায়;
o
খাবার পরে প্রকাশ্যে খিলাল করা বেমানান;
o
খাবার পর তৃপ্তির ঢেকুর তোলা অসৌজন্যতা;
o
মুখে খাবার নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়;
o
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ মাঝে মধ্যে সিগারেট অপার করতে পারেন,
এটি ধন্যবাদান্তে গ্রহণ না করাই ভাল;
o
কোনো অধূমপায়ী বা মহিলার সামনে ধূমপান করতে হলে অনুমতি নেয়াই
শিষ্টাচার;
o
ভোজ শেষে হোস্ট এর নিকট থেকে বিদায় নিতে ও ধন্যবাদ জানাতে হবে।
# অনানুষ্ঠানিক ভোজ সভায় শিষ্টাচার :
·
খালি গায়ে, স্যান্ডো গেঞ্জি পরে এবং লুঙ্গি/ম্যাক্সি পরে খাবার
গ্রহণ না করা, ট্রাউজার ও টি-শার্ট/কামিজ ও সালোয়ার পরা যেতে পারে;
·
ষষ্ঠক/উপদলের সকলে একই সঙ্গে বসে খাবার গ্রহণ করা;
·
খাবার খাওয়ার সময় মুখে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ/কাশি দিয়ে গলা পরিস্কার
করার শব্দ না করা;
·
খাবার গ্রহণকালে নাক থেকে সর্দি ঝাড়া কিংবা খেক করে মুখের উচ্ছিষ্ট
না ফেলা, প্রয়োজন হলে অন্যদের দৃষ্টির আড়ালে গিয়ে চুপ করে এই কাজটি করে নিতে হবে;
·
খাবার গ্রহণে অপরাপর অংশগ্রহণকারীর ঘৃণা ও অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়
এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
আচার-আচরণের পরিবর্তন ও শিষ্টাচারের উন্নয়নে
ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তি মূখ্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করলেও নিম্নবর্ণিত উপায়ে এর উন্নয়ন ঘটান
সম্ভব :-
(১) প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা : শিক্ষার মাধ্যমে
মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ ও প্রসারিত হয়। জ্ঞানের মাধ্যমে উপলব্ধি বৃদ্ধি পায়। ভাল মন্দ
বুঝতে পারে। এ জ্ঞানের প্রভাব মানুষের চরিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটায়, তাকে দিক নির্দেশনা
দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত ও ভালোর দিকে অনুপ্রাণিত করে।
(২) অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা : মানুষের চারিত্রিক
উন্নয়নে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কথায় আছে, ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস’।
সৎ ও চরিত্রবান মানুষের সাথে চলা-ফেরা, ওঠা-বসা, কথা-বার্তার প্রভাব অপরকে দারুণভাবে
প্রভাবিত করে। এরূপ সাহচর্য একজন মানুষের আচার-আচরণে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে।
(৩) ব্যবহারিক শিক্ষা : চরিত্রের পরিবর্তন
কখনওই রাতারাতি হয় না। এ জন্য এমন শিক্ষার প্রয়োজন যাতে তার ঘনিষ্ট ব্যক্তি চরিত্রের
দুর্বল দিকগুলো প্রত্যক্ষভাবে বুঝিয়ে দেয়।
(৪) নিয়মিত অনুশীলন : পুঁথিগত শিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক
শিক্ষায় একজন মানুষের মনে যে প্রতিক্রিয়া হয় তা ব্যবহারিক শিক্ষায় সে অনুশীলন করতে
থাকে। নিয়মিত অনুশীলন তার উপলব্ধিকে পাকাপোক্ত করে এবং পূর্ণতা লাভ করে।
স্কাউটিং এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যার
মাধ্যমে শিশু (৬+) বয়স থেকে তার চরিত্রের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে তার উন্নয়নের
সুযোগ সৃষ্টি করে। আচার-আচরণ, হাঁটা-চলা, কথা বলা, পোশাক-পরিচ্ছদ সকলদিক থেকেই তাকে
শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়। ষষ্ঠক/উপদল পরিষদ, ষষ্ঠক/উপদল সদস্য, ষষ্ঠক/উপদল নেতা এবং ইউনিট
লিডারদের সান্নিধ্যে সে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করে। আবার প্যাক/ট্রুপ মিটিং, কাব
অভিযান বা হাইকিং প্রভৃতি স্কাউট কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে ব্যবহারিক শিক্ষা লাভ করে।
ক্যাম্পিং বা তাঁবু বাসকালে তার এ আচরণের নিয়মিত অনুশীলনের অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। এভাবেই
একজন স্কাউটের মধ্যে আচার-আচরণের উন্নয়ন সাধিত হয়। বাংলাদেশ স্কাউটসের ‘গঠন ও নিয়ম’
এবং স্কাউটিং এর রীতিনীতি অনুযায়ী একজন স্কাউটার বা স্কাউট তাঁর জীবন পরিচালিত করবেন
এটা সবারই প্রত্যাশা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন