এসেনশিয়াল
ট্রেনিং মেথডস্ এন্ড টেকনিকস্ ফর অ্যাডাল্ট ট্রেনিং এন্ড ডেভেলাপমেন্ট
১. লেকচার মেথড (Lecture Method) :
(ক)
চার্ট তৈরির ক্ষেত্রে-
১.
প্রধান বক্তব্য নির্ধারণ করে কম সংখ্যক শব্দে লিখতে হবে।
২.
ছবি ও শব্দ দিয়েও চার্ট তৈরি করা যেতে পারে।
৩.
পাঠযোগ্য করার জন্য প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ও দূরত্বের উপর ভিত্তি করে অক্ষরগুলো যথেষ্ট
বড় করতে হবে।
(খ) পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে-
১.
স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা/ হালকা রঙের হতে হবে।
২.
টেক্সট- কাল/ গাঢ় নীল এবং ফন্ট সাইজ ৩২ হতে ৪০ হলে ভাল হবে। তবে একটি স্লাইডে ছয় লাইনের
বেশি কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়।
৩.
চার্টের ন্যায় এক্ষেত্রেও প্রধান বক্তব্য নির্ধারণ করে কম সংখ্যক শব্দে টেক্সট লিখতে
হবে। (হ্যান্ডআউট/বক্তব্য স্লাইডে লিখে উপস্থাপন করা পরিহার করতে হবে।)
৪.
অহেতুক চাকচিক্য এবং অপ্রয়োজনীয় এনিম্যাশন পরিহার করতে হবে।
সার-সংক্ষেপ
:
#
বিষয়ের উপর উপস্থাপকের দখল ও জ্ঞান বক্তৃতায় স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হতে হবে।
#
কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় নেয়া যাবে না।
#
পরবর্তী সেশনের কোনো বিষয়ের উপর আলোকপাত বা আলোচনা করা যাবে না।
সীমাবদ্ধতা
:
১.
উপস্থাপক/বক্তা কোনো কোনো সময় তাঁর জ্ঞানের পরিধি বা গভীরতা দেখাতে আগ্রহী হয়ে উঠতে
পারেন। সে সময় তাঁর কাছে প্রশিক্ষণার্থীদের চাহিদা নগণ্য হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বক্তা
প্রশিক্ষণার্থীদের কেবলমাত্র শ্রোতা হিসেবে গণ্য করেন তখন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রকৃত
চাহিদা বা প্রয়োজনের কথা বক্তৃতায় গৌণ হয়ে যায়।
২.
ডেমোনেস্ট্রেশন টেকনিকস্ (Demonstration Method) :
কোনো
একটি কাজ কিভাবে করতে হয় তা হাতে কলমে দেখিয়ে দেয়াকে ডেমোনেস্ট্রেশন বলা হয়। প্রশিক্ষণ
কোর্সসমূহে সাধারণত স্কাউট দক্ষতার বিষয়সমূহ ডেমোনেস্ট্রেশন কৌশল অবলম্বন করে দেখানো
হয়। ডেমোনেস্ট্রেশনকে কার্যকর করতে হলে বিষয়বস্তু যথাক্রমে উপস্থাপন করতে হবে। যেমন-
১.
বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত আলোচনা
২.
ডেমোনেস্ট্রেশন
৩.
প্রশিক্ষণার্থী কর্তৃক অনুশীলন
৪.
উপসংহার
এক্ষেত্রে
হ্যান্ডআউট, ব্ল্যাক/হোয়াউট বোর্ড, চার্ট, মাল্টিমিডিয়া, লেপটপ, পাওয়ারপয়েন্ট, ভিডিও
ক্লিপ প্রভৃতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
#
ডেমোনেস্ট্রেশন কৌশল প্রয়োগ :
১.
শিক্ষাদানকালে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের অবস্থান সাধারণত পাশাপাশি কিংবা ইংরেজি
‘ভি’ (V) আকৃতিতে হবে।
২.
শেখানোর শুরুতে ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে; ক্রমান্বয়ে বলা ও শেখানোর গতি
বৃদ্ধি করতে হবে।
৩.
কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো বারবার শেখাতে হবে।
৪.
প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে বিষয়ের বিস্তৃতি ও পরিসীমা যথাযোগ্য
করতে হবে।
#
সতর্কতা :
১.
ডেমোনেস্ট্রশনের বিষয়ের উপর শিক্ষাদানকারীর তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক দক্ষতা ও ব্যাপক প্রস্তুতি
থাকতে হবে; প্রয়োজনে যেন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হন এবং সাবলীলভাবে বিষয়টি প্রশিক্ষণার্থীদের
নিকট উপস্থাপন করতে পারেন।
২.
বিষয়ের উপকরণাদি (প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীর) সংগ্রহ করে প্রস্তুত রাখতে হবে। উপকরণ
অবশ্যই মানসম্মত ও যথাযথ হতে হবে। যেমন- নটিং এর জন্য যথাযথ দড়ি প্রয়োজন, সুতলী নয়।
#
জ্ঞাতব্য : ডেমোনেস্ট্রেশনের পরেই প্রশিক্ষণার্থীরা অনুশীলন করবে। প্রশিক্ষণার্থীরা
কোনোক্রমেই যেন শেখানোর শুরুতেই বা ডেমোনেস্ট্রেশনের সময় একই সঙ্গে কাজ শুরু না করে।
৩.
বেইজ মেথড (Base Method) :
একই
সময়ে অনেক লোককে এক সংগে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদানের জন্য এই মেথড ব্যবহার করা হয়। সাধারণত
ব্যবহারিক বিষয়ের প্রশিক্ষণ এ মেথডে বেশ কার্যকর হয় তাই এটি প্রশিক্ষণ কোর্সে বহুল
ব্যবহৃত একটি মেথড। এ মেথডে প্রশিক্ষণার্থীগণ পূর্বে স্থাপিত বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরে
ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রতিটি স্টেশনে একজন করে দক্ষ লিডার
থাকেন। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ উপকরণ/সরঞ্জাম আগেই স্টেশনে মজুদ রাখা হয়। যতগুলো ষষ্ঠক/উপদল
অথবা ছোটদল আছে ততগুলো স্টেশন হলে এবং সকল স্টেশন প্রায় সমান দূরত্বে থাকলে সময়ের উৎকৃষ্ট
ব্যবহার করা সম্ভব হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের ষষ্ঠক/উপদল বা ছোটদলভিত্তিক প্রতিটি স্টেশনে
পাঠানো হয় । ধরা যাক, ষষ্ঠক/উপদল/ছোটদল রয়েছে পাঁচটি ও স্টেশন রয়েছে পাঁচটি, প্রথমত
তাদের পাঁচটিকে পাঁচটি স্টেশনে একই সাথে পাঠানো হয়। তারা একই সময়ে স্ব স্ব স্টেশনে
প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। নির্ধারিত সময় শেষে সেশন পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী (ক্লকওয়াইজ)
পরবর্তী স্টেশনে যায় ও একইভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এভাবে তারা প্রতিটি স্টেশনে ঘুরে
ঘুরে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে।
প্রশিক্ষণার্থীরা
একটি স্টেশনে পৌঁছার পর সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষক প্রথমে বিষয়ের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবেন,
তারপর উক্ত বিষয়ে ডেমোনেস্ট্রেশন করবেন এবং সবশেষে বিষয়টি অনুশীলন করতে বলবেন। এক কথায়-
প্রশিক্ষক এক্ষেত্রে ডেমোনেস্ট্রেশন টেকনিক প্রয়োগ করে শিক্ষাদান করেন।
সার-সংক্ষেপ
:
#
যতগুলো ষষ্ঠক/উপদল/ছোটদল আছে ততগুলো স্টেশন থাকবে।
#
যথাসম্ভব সমান সংখ্যক লোক ষষ্ঠক/উপদল/ছোটদলে থাকবে।
#
প্রতিটি স্টেশনের দূরত্ব যথাসম্ভব সমান থাকবে।
#
প্রতিটি স্টেশনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ উপকরণ/সরঞ্জাম প্রস্তুত থাকবে।
#
প্রতিটি স্টেশনে প্রশিক্ষকদের জন্য এমন বিষয় নির্ধারণ করতে হবে যাতে করে সমান সময়ে
প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করতে পারেন।
#
প্রশিক্ষণার্থীরা যেন একই সঙ্গে স্টেশন পরিবর্তন করতে পারে।
৪.
আলোচনা বা ডিসকাশন মেথড (Discussion Method) :
এটি
প্রায় লেকচার মেথডের মতই। তবে সেশনের শুরু থেকেই প্রশ্ন-উত্তর পর্ব এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা
চলতে পারে। লেকচার মেথড এবং ডিসকাশন মেথডের পার্থক্য মাত্রাগত। সাধারণতঃ কোনো বিষয়ের
ভূমিকা, কোনো তথ্য প্রদান, কোনো কৌশল ব্যাখ্যা করা, দুটো বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বা
পার্থক্য দেখানো অথবা কোনো সেশন সমাপ্ত করার সময় এ কৌশল অবলম্বন করা যায়। আলোচনা সাধারণতঃ
৫ থেকে ২০ মিনিট হতে পারে; তবে কোনো ক্রমেই ৩০ মিনিটের বেশি হওয়া উচিত নয়। সাধারণতঃ
মানুষ ৪/৫ মিনিটের বেশি কোনো বিষয়ে মনোযোগ রাখতে পারে না এবং অধিকাংশ আলোচনা ১৫ মিনিট
পরে মানুষ ভুলে যায়। কাজেই এ মেথডে শিক্ষাদান কার্যকর করতে হলে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন-উত্তর
থাকতে হবে। একজন প্রশিক্ষণার্থীর প্রশ্নের উত্তর অন্য একজন প্রশিক্ষণার্থীর নিকট থেকে
আদায় করতে পারলে এ মেথডকে কার্যকর করা সম্ভব। তবে লেকচার মেথডের মত পরবর্তী পর্যায়ে
এ বিষয়ে গ্রুপ ডিসকাশন অথবা গ্রুপ ওয়ার্ক রাখতে পারলে ভাল হয়।
৫.
প্যানেল প্রেজেন্টেশন মেথড (Panel Presentation Method) :
কোনো
একটি তত্ত্বীয় বিষয় একই সেশনে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ভিন্ন ভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে পৃথক
পৃথক ব্যক্তি কর্তৃক উপস্থাপনার কৌশলই হচ্ছে প্যানেল প্রেজেন্টেশন। এটি একটি কার্যকর
ও আকর্ষণীয় শিক্ষাদান পদ্ধতি।
#
কিভাবে করতে হয়?
১.
প্যানেল প্রেজেন্টেশনে একজন মডারেটর এবং ২ থেকে ৫ জন প্যানেলিস্ট থাকে।
২.
সেশনের এক একটি অংশ উপস্থাপন করার জন্য এক এক জন প্যানেলিস্টকে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং
তার জন্য সময়ও নির্দিষ্ট করা থাকে।
৩.
মডারেটর সেশনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভূমিকা দিয়ে প্যানেলিস্টদের প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট
পরিচয় করিয়ে দিবেন।
৪.
মডারেটর প্রাথমিকভাবে বিষয়বস্তুর অবতারণা করবেন এবং পর্যায়ক্রমে প্যানেলিস্টদের বিষয়বস্তু
উপস্থাপন করার জন্য আহ্বান জানাবেন। প্রত্যেকের উপস্থাপনা শেষে তার সারাংশ উল্লেখপূর্বক
কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বাদ গেলে তিনি তা উল্লেখ করবেন এবং পরবর্তী প্যানেলিস্টকে তাঁর
বক্তব্য রাখার জন্য আহ্বান করবেন।
৫.
প্যানেলিস্টদের উপস্থাপনার শেষে মডারেটর সেশনের বিষয়বস্তুর সামিং আপ করবেন। সামিং আপ
শেষে প্যানেলিস্টদের ধন্যবাদ জানাবেন; সে সাথে প্রশিক্ষণার্থীদেরও ধন্যবাদ জানিয়ে সেশনের
প্রথম পর্যায় সমাপ্ত করবেন।
৬.
ধন্যবাদ শেষে মডারেটর উপস্থাপিত বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট প্রশ্ন আহ্বান করবেন।
মডারেটর ইচ্ছে করলে নিজে প্রশ্নের জবাব দিবেন অথবা সংশ্লিষ্ট প্যানেলিস্টকে জবাব দেওয়ার
জন্য আহ্বান জানাবেন। প্রশ্নোত্তর শেষে মডারেটর সেশনের সমাপ্তি টানবেন।
#
বৈশিষ্ট্য :
১.
একই বক্তা অনবরত বক্তব্য পেশ করলে শ্রোতাগণ একঘেয়েমী বোধ করেন। বিভিন্ন বক্তার মাধ্যমে
স্বর, বলার প্রকাশ ভঙ্গী ইত্যাদি পরিবর্তনের মাধ্যমে বক্তৃতা আকর্ষণীয় হয়ে উঠে।
২.
বক্তার শ্রম লাঘব হয়।
৩.
প্যানেলিস্টদের উপস্থাপনা অনেকটা টেলিভিশনের নির্ধারিত অনুষ্ঠানের মত হয়।
৪.
প্যানেলিস্টগণ উপস্থাপনাকে আকর্ষর্ণীয় করার জন্য, চার্ট, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ
প্রভৃতি অডিওভিজ্যুয়াল এইড ব্যবহার করতে পারেন।
৫.
প্যানেলিস্ট কোনো পয়েন্ট বাদ দিয়ে থাকলে মডারেটর তা যোগ করে দিতে পারেন।
৬.
মডারেটর ও প্যানেলিস্ট ইচ্ছে করলে বসেও তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন।
৭.
সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য উপস্থাপনের সময় সমান থাকে।
৮.
প্যানেলিস্টগণ মডারেটরকে ধন্যবাদ জানিয়ে যেমন উপস্থাপনের শুরু করেন তেমনই উপস্থাপনের
সুযোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করেন। আবার মডারেটর প্রজেন্টেশনের শেষে প্যানেলিস্ট
ও প্রশিক্ষণার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সেশনের সমাপ্তি টানেন।
#
সীমাবদ্ধতা : একমুখী উপস্থাপন (one way traffic) হওয়ায় এ পদ্ধতিতে
ভাবের আদান প্রদানের সুযোগ নেই।
#
সতর্কতা :
১.
মডারেটর সেশন আরম্ভের পূর্বে সেশনের নিয়ম রক্ষার্থে যাতে আলোচনার সময়কালে প্রশিক্ষণার্থীগণ
সরাসরি প্রশ্ন না করেন তা বলে রাখবেন। প্রশ্ন করার প্রয়োজন মনে করলে খাতায় নোট করে
রাখতে পরামর্শ দিতে হবে এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে তার উত্তর দিতে হবে।
২.
প্যানেলিস্ট নিজ বিষয় উপস্থাপনের সময় অংশগ্রহণকারীদের কোনো মতামত আহ্বান করবেন না।
৩.
প্যনেলিস্টগণ মডারেটরের সাথে কথা বলবেন, তবে প্রশিক্ষণার্থীদের দিকে মুখমণ্ডল রেখে
কথা বলবেন যাতে প্রশিক্ষণার্থীগণ সহজেই কথাগুলো বুঝতে পারেন।
৪.
উত্তমরূপে উপস্থাপনের জন্য প্যানেলিস্টগণকে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করে প্রয়োজনে মহড়া
দিতে হবে।
৫.
সেশন শুরুর পূর্বে কিংবা সেশন শেষে ব্যবহৃত পদ্ধতির নাম কখনও কেউ উল্লেখ করবেন না।
৬.
আলোচনাকালে কোনো বক্তার বক্তব্য শেষ হয়ে গেলে কখনও ডায়াস ছেড়ে চলে যাবেন না।
৭.
উপবিষ্ট নীরব বক্তাগণ কখনও ঝিমাবেন না, এতে প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট প্রশিক্ষকগণকে হেয়
হতে হয়।
#
একটি মডেল প্রেজেন্টেশনের সময় বিভাজন :
·
ভূমিকা ও প্যানেল পরিচিতি ২ মিনিট
·
আলোচনার সূত্রপাত ৫ মিনিট
·
প্রথম প্যানেলিস্টের আলোচনা ১২ মিনিট
·
মডারেটর ২ মিনিট
·
দ্বিতীয় প্যানেলিস্টের আলোচনা ১২ মিনিট
·
মডারেটর ২ মিনিট
·
তৃতীয় প্যানেলিস্টের আলোচনা ১২ মিনিট
·
মডারেটর
২ মিনিট
·
সামিং আপ ৫ মিনিট
·
প্রশ্নোত্তর পর্ব ৬ মিনিট
মোট = ৬০ মিনিট
৬.
প্যানেল ডিসকাশন মেথড (Panel Discussion Method) :
১.
দুই বা ততোধিক প্যানেলিস্ট সমন্বয়ে প্যানেল গঠিত হয়। এখানে প্যানেল প্রেজেন্টেশনের
মত কোনো মডারেটর থাকেন না।
২.
আলোচ্য বিষয়ের উপর একজন প্যানেলিস্ট বক্তব্য পেশ করলে সাথে সাথে অন্য একজন প্যানেলিস্ট
পূর্ববর্তী বক্তব্যের রেশ ধরে তার ধারণা ব্যক্ত করেন। আবার তাঁর আলোচনা শেষ হলে অন্য
প্যানেলিস্ট আলোচনা শুরু করেন।
৩.
আলোচনার সূত্রপাত ও সমাপ্তির জন্য একজন প্যানেলিস্ট পূর্ব হতেই নির্ধারিত থাকেন।
৪.
সামগ্রিক আলোচনা শেষ হলে শ্রোতাগণের ধারণা পরিস্কার হলো কি না তা জানার জন্য প্রশ্ন
করার সুযোগ দেয়া হয়।
#
বৈশিষ্ট্য :
১.
একজন প্যানেলিস্ট কোনো পয়েন্ট বাদ দিলে অন্য প্যানেলিস্ট তা যোগ করে দিতে পারেন।
২.
বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্টগণের পারস্পরিক মত বিনিময় ও ভাবের আদান প্রদানের সুযোগ থাকে।
৩.
প্যানেলিস্ট আলোচনাকালে অংশগ্রহণকারীদের কোনো মতামত আহ্বান করবেন না।
৪.
অংশগ্রহণকারীগণ নীরব থাকেন। আলোচনাকালে কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে না।
৫.
প্যানেল ডিসকাশনের উপস্থাপনা অনেকটা টেলিভিশনের পর্দার অনুষ্ঠানের মত।
#
সতর্কতা :
১.
প্যানেলিস্টগণকে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
২.
প্যানেল ডিসকাশনে বরাদ্দকৃত সময়ের প্রতি সকল প্যানেলিস্টকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৭.
টিম টক মেথড (Team Talk Method) :
কোনো
একটি সেশনের মূল বিষয়কে একাধিক ভাগে ভাগ করে একাধিক বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে সেশন
লিডারের নেতৃত্বে ‘টক’ (Talk) বা কথা বলা পদ্ধতিতে উপস্থাপন করাকে ‘টিম
টক’ বা টিম টিচিং বলা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে সরাসরি কথা
বলেন, প্রশিক্ষণার্থীদের কোনো প্রশ্ন থাকলে সাথে সাথে উত্তর প্রদান করতে পারেন। এতে
প্রশিক্ষণার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে।
#
কিভাবে করা হয়?
১.
টিম টকের জন্য সেশন পরিচালক কর্তৃক ৩ থেকে ৫ জন প্রশিক্ষক নিয়ে টিম গঠন করতে হবে।
২.
সেশনের মূল বিষয়কে সুবিধাজনক একাধিক অংশে বিভক্ত করে নিতে হবে।
৩.
প্রতিটি ভাগের জন্য একজন প্রশিক্ষককে তাঁর অংশ উপস্থাপনের লক্ষ্যে সময় নির্ধারণপূর্বক
দায়িত্ব দিতে হবে।
৪.
প্রত্যেক টিম সদস্যকে সেশনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বাহ্নে ব্রিফিং দিয়ে নিতে হবে।
৫.
সেশন পরিচালক মঞ্চে উপস্থিত হয়ে মূল বিষয়ের উপর আলোচনার জন্য ধাপে ধাপে বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকদের
আহ্বান করবেন এবং তাঁকে যে অংশ আলোচনার জন্য বলা হবে তিনি কেবলমাত্র সেই অংশটুকু আলোচনা
করবেন।
৬.
একজনের আলোচনার পর সেশন পরিচালক অন্য প্রশিক্ষককে তাঁর অংশটুকু আলোচনার জন্য আহ্বান
করবেন।
৭.
প্রশিক্ষকগণ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে এবং প্রয়োজনে অডিও ভিজ্যুয়াল এইড ব্যবহার করে তাঁর
নির্ধারিত অংশটুকুর উপর শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে স্বচ্ছ ধারণা দিতে সক্ষম হবেন।
#
জ্ঞাতব্য :
১.
আলোচনার শুরুতেই প্রশিক্ষক টিম মঞ্চে উপস্থিত হয়ে অবস্থান করতে পারেন কিংবা শিক্ষার্থীদের
পিছনেও বসতে পারেন এবং সেখান থেকে সেশন পরিচালক তাঁদের এক একজনকে পরপর ডেকেও নিতে পারেন।
২.
আলোচনান্তে প্রশিক্ষকগণ মঞ্চে অবস্থান করতে পারেন কিংবা চলেও যেতে পারেন।
৮.
ব্রেইন স্টর্মিং মেথড (Brain Storming Method) :
#
কিভাবে করা হয়?
১.
৮-১০ জন নিয়ে একটি গ্রুপ করতে হবে।
২.
প্রতিটি গ্রুপ পৃথকভাবে বৃত্তাকারে বসবে যাতে একে অপরকে দেখতে পায়।
৩.
গ্রুপ থেকে একজনকে আলোচনার লিডার বা পরিচালক এবং দুইজনকে লেখক বা সম্পাদক মনোনীত করা
হবে। (একজন লেখকের পক্ষে দ্রুত রেকর্ড সংরক্ষণ
করা সম্ভব নয় বলে দুইজনে লিখবেন।)
৪.
আলোচনার লিডার বা পরিচালক কোনো একটি বিষয় গ্রুপের সদস্যদের নিকট ব্যাখ্যা করবেন এবং
এ বিষয়ে তাদের ৩ থেকে ৫ মিনিট চিন্তা করার সময় দিবেন।
৫.
এ সময়ে ইচ্ছে করলে গ্রুপের সদস্যগণ তাদের ধারণাগুলো কাগজে লিখে নিতে পারেন।
৬.
পরিচালনার সুবিধার্ধে পরিচালক তার গ্রুপের সকলকে ক্রমিক নম্বর দ্বারা চিহ্নিত করবেন
এবং সদস্যগণ তাদের নম্বর মনে রাখবে।
৭.
ব্রেইন স্টর্মিং পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হলে পরিচালক দ্রুত ক্রমানুসারে চক্রাকারে
নম্বর উচ্চারণ করবেন যেমন : ১, ২, ৩…..।
৮.
ক্রমানুসারে সদস্যগণ প্রত্যকে তাদের একটি ধারণা ঝট্ পট্ বলে যাবেন যদি কেউ কোনো ধারণা
তাৎক্ষণিক দিতে না পারেন তবে তিনি “পাস” বলবেন।
৯.
প্রতি রাউন্ডে প্রতিজন একটি ধারণা দিবেন। তবে এ কার্যক্রমে পরিচালক ও লেখকদ্বয় ক্রমানুসারে
তাদের ধারণাও ব্যক্ত করবেন। প্রাপ্ত প্রতিটি ধারণা লেখকদ্বয় লিপিবদ্ধ করবেন।
১০.
একবার করে প্রত্যেকের ধারণা বলা হয়ে গেলে আবারও পর্যায়ক্রমে আহ্বান জানাতে হবে।
১১.
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (যেমন- ১০ মিনিট) যতক্ষণ সকল সদস্য “পাস” না বলবেন ততক্ষণ প্রক্রিয়া
চলবে।
১২.
সময় রক্ষক হিসেবে একজনকে (কোর্স স্টাফের মধ্য হতে) দায়িত্ব দিতে হবে, তিনি শুরু ও শেষ
সংকেত দিবেন।
উল্লেখ্য যে, লেখকদ্বয় ধারণা প্রয়োগকারীর নাম লিখবেন না শুধুমাত্র
অল্প কথায় ধারণাটি লিখবেন। যেমন- ‘স্কাউটিংকে জনপ্রিয় করে তোলার উপায়’-এ বিষয়ের উপর
সদস্যদের উত্তর হতে পারে; ফিল্ম শো, পত্রিকায় স্কাউট সংক্রান্ত লেখা ছাপা, অভিভাবক
দিবস উদযাপন ইত্যাদি।
# মূল্যায়ন :
নির্ধারিত সময়ে ব্রেইন স্টরমিং স্টর্মিং সমাপ্ত হলে প্রাপ্ত ধারণাসমূহ মূল্যায়নপূর্বক
চূড়ান্ত করা হয়। এক্ষেত্রে বিষয়গুলো নিয়ে গ্রুপের সদস্যগণ আলোচনায় বসবেন। আলোচনাকালে
সকলের মত নিয়ে কোনো ধারণাকে বাস্তবসম্মত করার লক্ষ্যে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আবার
কোনো ধারণা অবাস্তব হেতু বাদ দিতে হতে পারে। এভাবে অতি অল্প সময়ের মধ্যে কোনো বিষয়
সম্পর্কে অনেকগুলো ধারণা পাওয়া সম্ভব। এবারে দুইজন লেখক কর্তৃক লিপিবদ্ধ ধারণাসমূহ
সমন্বয় করে চূড়ান্ত আকারে উপস্থাপন করতে হবে।
#
ব্রেইন স্টর্মিং মেথডের সুবিধা :
Ø এ পদ্ধতিতে সকলের
অংশগ্রহণ সম্ভব হয়।
Ø এক বা দু’জনের চেয়ে
একাধিক মস্তিষ্কের কাজ ভাল হয়।
Ø এতে লাজুক সদস্যও
অংশগ্রহণ করে থাকেন।
Ø এতে প্রশিক্ষণার্থীরা
তাঁদের লব্দ জ্ঞান বিশেষ একটি বিন্দুতে প্রতিস্থাপন করতে পারেন।
Ø এ পদ্ধতিতে বিষয়
সম্পর্কে সকল সদস্যের সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।
Ø এ পদ্ধতি একটি চমৎকার
টিম ওয়ার্ক।
#
সীমাবদ্ধতা :
১. এ পদ্ধতিতে শুধুমাত্র
বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণার্থীদের কেমন ধারণা তা যাচাই করা যায়।
২. এ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষক তত্ত্বীয় বা ব্যবহারিক
বিষয় শেখাতে পারেন না।
১.
আলোচ্যবিষয় সম্পর্কে গ্রুপের সদস্যদের পূর্বধারণা থাকতে হবে অর্থাৎ নির্দিষ্ট বিষয়ে
পূর্বঅভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করা হয়।
২.
গ্রুপের সদস্যগণ টেবিলে গোল হয়ে বসবেন যেন একে অপরকে দেখতে পান।
৩.
লিডার বা পরিচালক বিষয়বস্তু সম্পর্কে গ্রুপের সদস্যদের নিকট ব্যাখ্যা করবেন।
৪.
বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা করার জন্য সদস্যদের ৩ থেকে ৫ মিনিট সময় দেয়া হবে। এ সময় তারা
ইচ্ছে করলে কাগজে পয়েন্ট টুকতে পারেন।
৫.
এর পর পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক সদস্যকে বিষয়বস্তুর উপর সর্বোচ্চ ৩ মিনিট বক্তব্য রাখার
সুযোগ দেয়া হবে।
৬.
প্রত্যেকের বক্তব্যের সারাংশ সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডে বা ফ্লিপ চার্টে পয়েন্ট আকারে লিখে
ফেলতে হবে। এ বিষয়ে অন্যান্য বক্তা পুনরালোচনা করবেন না।
৭.
এ পর্যায়ে কোনো ডিসকাশন হবে না, তবে কেউ যদি কোনো বক্তার বক্তব্য বুঝতে না পারেন তবে
বক্তাকে থামিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের
বক্তব্য বুঝতে পারেন।
৮.
সকলের বক্তব্য শেষে লিপিবদ্ধ পয়েন্টগুলোকে আলোচ্যবিষয় ধরে গ্রুপ ডিসকাশন করতে হবে।
৯.
গ্রুপ ডিসকাশন শেষে বিষয়বস্তু সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পাওয়ার পর পরিচালক বা লিডার
গোল টেবিল আলোচনার সামিং আপ করে সমাপ্তি টানবেন।
১০. বাজ গ্রুপ মেথড (Buzz Group Method) :
#
কেন বাজ গ্রুপ করা হয়?
১.
কোনো প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শুরুতে যেখানে প্রাক-মূল্যায়নের প্রশ্নাবলি বিতরণ করা হয়
নি সেখানে বাজ গ্রুপে আলোচনা করে প্রশিক্ষণার্থীদের চাহিদা ও আগ্রহ সম্পর্কিত তথ্য
প্রশিক্ষককে অবহিত করা যায়।
২.
বাজ গ্রুপ আলোচনা করে নিজেদের দায়িত্ব/কাজ কি কিংবা এই প্রশিক্ষণে যে সকল তথ্যাদি সম্পর্কে
জানতে আশা করা যায় তার তালিকা তৈরি করতে পারে।
৩.
কোনো বিষয় উপস্থাপনের আগে সে সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীগণ কতটুকু জানেন বা সে বিষয় সম্পর্কে
তাদের অনুভূতি কি তা জানতে বাজ গ্রুপ প্রশিক্ষককে সাহায্য করে।
৪.
কোনো বিষয় উপস্থাপনের পর বিষয়টি প্রশিক্ষণার্থীগণ কতটুকু অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন
তা যাচাই করতে এবং বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত কোনো সমস্যা সমাধানের সুপারিশ তৈরি করার জন্য
বাজ গ্রুপ গঠন করা হয়।
৫.
অন্যান্য ছোট গ্রুপের ন্যায় বাজ গ্রুপও দলীয় সহযোগিতা ও চেতনা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
৬.
লাজুক/ভীরু প্রশিক্ষণার্থীও সাধারণত স্বেচ্ছায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করে এবং বাজ গ্রুপে
তার সাফল্যজনক অংশগ্রহণ তাকে বড় ধরনের গ্রুপ আলোচনায় অংশগ্রহণের সাহস যোগায়।
#
বাজ গ্রুপ পরিচালনা কৌশল :
১.
বাজ গ্রুপ গঠনের পূর্বে আলোচনার বিষয় স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করতে হবে এবং প্রত্যেক গ্রুপ
কি কাজ করবে তা বুঝিয়ে দিতে হবে। এই নির্দেশনা মৌখিক বা লিখিত দেয়া যেতে পারে। প্রত্যেক
গ্রুপকে একই বিষয় বা একই বিষয়ের ভিন্ন দিক কিংবা ভিন্ন ভিন্ন বিষয় দেয়া যায়।
২.
প্রশিক্ষণার্থীদের ৩ থেক ৬ জনের গ্রুপে ভাগ করতে হবে। প্রতি গ্রুপে একজন চেয়ারম্যান
এবং একজন রেকর্ডার থাকবেন। প্রশিক্ষক নিজেই চেয়ারম্যান ও রেকর্ডার নিয়োগ করতে পারেন
অথবা গ্রুপ সদস্যরা নিজেরাই মনোনীত করে প্রশিক্ষকের অনুমোদন নিতে পারে।
৩.
কোনো পূর্ব প্রস্তুতির সময় না নিয়ে গ্রুপসমূহ তিন থেকে পাঁচ মিনিট আলোচনা করে মতামত
তৈরি করবে এবং একে একে কারণসহ মতামত পেশ করবে।
৪.
বাজ গ্রুপের আলোচনাকালে কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ, প্রশ্ন ও ব্যাখ্যার জন্য প্রশিক্ষক
তাদের কাছে যাবেন।
৫.
এ পদ্ধতিতে সকলের ব্যক্তিগত মতামত প্রতিফলিত হয় তাই প্রশিক্ষক সেশনের আলোচনা বাজ গ্রুপ
অনুসারে এগিয়ে নিতে পারেন আবার না-ও নিতে পারেন তবে রিপোর্ট সঠিক হলে গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয়।
৬.
সব ক’টি গ্রুপের কাজ সমাপ্ত হলে প্রশিক্ষণার্থীদেরকে আবার একত্রিত করতে হবে।
৭.
প্রজেক্ট ওয়ার্ক গ্রুপের অংশ হিসেবে বাজ গ্রুপ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
#
সীমাবদ্ধতা :
-
নতুন কোনো তথ্য বা যে বিষয় প্রশিক্ষণার্থীদের জানা নেই, সে
বিষয়ে আলোচনায় বাজ গ্রুপ মেথড ব্যবহার করা যায় না।
11. গ্রুপ ডিসকাশন মেথড (Group Discussion
Method) :
# গ্রুপ ডিসকাশন বা গ্রুপ আলোচনা কী?
-
একটি উন্নতমানের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি
-
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সদস্যগণ একে অপরের নিকট থেকে শেখার সুযোগ
পায়
-
সকলের পক্ষে কার্যকর চিন্ত ভাবনা উন্নয়নের অভিজ্ঞতা অর্জনের
পন্থা।
এটি
উন্নয়নকামী জননেতাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং মূল্যবান পদ্ধতি, উপরে বর্ণিত তিনটি কার্যক্রমের
সাফল্য নির্ভর করে ডিসকাশন লিডারের আলোচনা বা পরিচালনা কৌশলের উপর।
# ডিসকাশন লিডারের কাজ :
-
আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট পরিচিতি দান এবং আলোচনার জন্য
উপস্থাপন
-
জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে প্রেরণা দান
-
ডিসকাশন গ্রুপের নিকট আলোচ্য বিষয়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট
ব্যাখ্যা দান
-
আলোচিত বিষয়ের সার-সংক্ষেপ তৈরি।
# জ্ঞাতব্য :
·
দক্ষ লিডার বিষয়ের উপর কোনো বক্তৃতা বা নির্দেশনা দান করেন
না; মডারেটর বা চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন।
·
তিনি নিজে কোনো অভিমত ব্যক্ত করার পরিবর্তে সদস্যদের নিকট থেকে
স্ব স্ব ধারণা লাভে সচেষ্ট হন।
# ডিসকাশন গ্রুপ সংগঠন পদ্ধতি :
একজন
ডিসকাশন লিডার এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য নিয়ে ডিসকাশন গ্রুপ গঠিত হবে। প্রাণবন্ত
আলোচনার জন্য গ্রুপ গোলাকার আসন ব্যবস্থায় এমনভাবে বসেন যাতে একে অপরকে সামনা সামনি
দেখতে পান। লিডার আলোচনা আহ্বান করেন এবং সদস্যগণ সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন
(চিত্র-১)।
# আসন ব্যবস্থা :
-
উপস্থিত সদস্যদের খোলামেলা বসার উপযোগী কক্ষ। এ ক্ষেত্রে বর্গাকৃতি
কক্ষ সর্বোত্তম।
-
আসন ব্যবস্থা আরামদায়ক কবে অত্যধিক আরামদায়ক নয়।
-
আসন ব্যবস্থা এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে একে অপরকে, ডিসকাশন লিডার,
বোর্ড/চার্ট প্রভৃতি সহজ ও সরলভাবে দেখতে পাওয়া যায় (চিত্র-২)।
-
সদস্যদের নোট তৈরি বা বিষয়ের উপর কাগজপত্র দেখা বা পর্যালোচনার
জন্য প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টেবিল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ফরমালিটি রক্ষার
জন্য কোনো প্রকার টেবিল ব্যবহার না করাই সর্বোত্তম।
# গ্রুপ ডিসকাশন পরিচালনার পূর্বে লিডারের
করণীয় :
-
লিডার নিজে নিজে প্রস্তুতি গ্রহণ করা
-
আলোচনা প্লান তৈরি করা
-
আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে সদস্যদের জ্ঞান/অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করা
-
প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করা
# গ্রুপ ডিসকাশন পরিচালনা পদ্ধতি :
প্রথম পদক্ষেপ : উদ্বোধনী ও পরিচিতি
-
গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি
-
আলোচনার উদ্দেশ্য বর্ণনা, বেসিক পটভূমি পর্যালোচনা
-
ভুল বোঝাবুঝির অবসান কল্পে পদ্ধতি ও নিয়মের ব্যাখ্যা দান।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ : আলোচ্য বিষয়ে পরিচালনা,
প্রদর্শনী ও সার-সংক্ষেপ
১.
ইনট্রোডাক্টরি বক্তব্য, প্রারম্ভিক প্রশ্ন, প্রয়োজন হলে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে সরাসরি
প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উদ্দেশ্যাবলি ব্যবহার।
২.
আলোচনা পরিচালনা-
-
সকলকে সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে নিজে ব্যাকগ্রাউন্ডে
থাকা, যাতে সকলে স্বতঃস্ফূর্ত ও মুক্তভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
- আলোচনায় মনোপলি পরিহার করে কৌশলী প্রশ্নের সাহায্যে
আলোচনা চালিয়ে যেতে সহায়তা করা।
৩.
আলোচ্য বিষয়ে প্রতিটি বিষয়কে সার-সংক্ষেপ করা
- উপসংহারে প্রতিটি বিষয়ের উপর সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা
দান।
তৃতীয় পদক্ষেপ : আলোচ্য বিষয়ের সমাপ্তি
-
আলোচ্য সিদ্ধান্তের প্রধান পয়েন্টের সাফল্য ও বিফলতা মূল্যায়ন
-
অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন।
# গ্রুপ আলোচনায় প্রশ্নের ব্যবহার
-
গ্রুপ আলোচনায় সঠিক নির্দেশনা, স্পষ্টতর ও প্রাণবন্ত করার জন্য
প্রশ্ন অত্যন্ত কার্যকর উপকরণ।
-
প্রশ্নের ব্যবহার-
* আগ্রহ বাড়ানো, চিন্তাশীলতার উন্নয়ন ও সকলের
ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য
* তথ্য সরবরাহ বিষয় উন্নয়ন ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের
জন্য আলোচনার ধারা পরিবর্তন এবং আলোচনার সমাপ্তি বা
সীমাবদ্ধ করার জন্য।
# প্রশ্নের ধারা :
অত্যন্ত লাভজনক ও সৃজনধর্মী প্রশ্ন হচ্ছে-
যার উত্তর এক কথায় ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দ্বারা দেয়া যায়।
·
ছয় প্রকার প্রশ্নের ব্যবহার ( কে, কেন, কি প্রকারে, কোথায়,
কখন, কি )।
১। সাধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক প্রশ্ন-
আলোচনায়
আগ্রহ সৃষ্টি বা আলোচনা আরম্ভ প্রক্রিয়া সম্বলিত প্রশ্ন। চিন্তাশীলতা বাড়ানোর উপযোগী
প্রশ্ন পূর্বেই তৈরি করে নিতে হবে।
২। সরাসরি-
নির্দিষ্ট
ব্যক্তির নাম ধরে প্রশ্ন। ব্যক্তিগত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ, যে কোনো সদস্যের একক আলোচনার
গতিপথ অন্যদিকে প্রবাহিতকরণ, কারো ব্যক্তিগত কথাবার্তা থেকে অংশগ্রহণকারীদের মনোযোগ
আলোচনায় ফিরিয়ে আনার জন্য।
৩। ঘুরিয়ে ও রিলে প্রশ্ন-
দলনেতা
নিজে কখনও প্রশ্নের উত্তর দান করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আলোচনাকারীগণ উত্তর দানে ব্যর্থ
হবে বা একমাত্র তার নিকট থেকে উত্তর পেতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। নিজেকে অগ্রিম মতামত প্রদানে
বিরত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশ্নকারীকে প্রশ্ন ঘুরিয়ে সম্ভাব্য উত্তর জিজ্ঞাসা করবেন
অথবা অন্য সদস্যদের নিকট প্রশ্ন রিলে করবেন।
সন্তোষজনক উত্তর পেতে অবশ্যই প্রশ্ন-উত্তর
করা এবং উপসংহারে বলা যায়- যা কিছু ঘটুক না কেন রহস্যপ্রিয়তা বজায় রাখা ও শান্ত থাকা।
# গ্রুপ সদস্যদের প্রকারভেদ (চিত্র-৩) ও ডিসকাশন
লিডারের করণীয় :
১। ঝগড়াটে টাইপ- চুপ করে বসে থাকতে
দিন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে দিবেন না। তাঁকে একছত্রভাবে কথা বলতে দিবেন না।
২। পজিটিভ টাইপ- আলোচনার সহায়ক।
তাঁকে অবদান রাখতে আহ্বান করুন। তাঁকে যখন তখন কথা বলার সুযোগ দিন।
৩। সবজান্তা টাইপ- তাঁর তাত্ত্বিকতা
গ্রুপে আলোচিত হতে দিন।
৪। সব সময় কথা বলা টাইপ- চাতুর্যের সাথে
কথা বন্ধ করুন বা বলার সময় কমিয়ে দিন।
৫। লাজুক টাইপ- তাঁকে সহজ প্রশ্ন
করুন। তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করুন। যখনই সুযোগ পান তাঁকে বাহবা দিন।
৬। অসহযোগী টাইপ- তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা
বাড়াতে সাহায্য করুন। তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে স্বীকৃতি দিন এবং কাজে লাগান।
৭। অনাগ্রহী টাইপ- তাঁর কাজ সম্পর্কে
প্রশ্ন করুন। যে কাজে তাঁর বেশি আগ্রহ রয়েছে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করুন।
৮। ভ্রু কুচকানো টাইপ- তাঁকে সমালোচনা
করবেন না। তাঁর সাথে হ্যাঁ/না সূচক কৌশল ব্যবহার করুন।
৯। অধৈর্য প্রশ্নকারী টাইপ- গ্রুপ লিডারকে বেকায়দায়
ফেলার প্রশ্ন করে। তাঁর প্রশ্ন তাঁকে ঘুরিয়ে জিজ্ঞেস করুন অথবা গ্রুপ সদস্যদের মধ্যে
রিলে করুন।
12.
কেইস স্টাডি মেথড (Case Study Method) :
সাধারণত
দল পরিচালনায় কোনো একটি বাস্তব অবস্থা বা ঘটনা (Case) এক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের
নিকট উপস্থাপন করা হয়। ঘটনার উপস্থাপন মৌখিক হতে পারে, হ্যান্ডআউটের মাধ্যমে হতে পারে
আবার অডিও বা ভিডিও-র মাধ্যমেও হতে পারে। ঘটনার বর্ণনার পরে বা উপস্থাপনের পরে সেশন
পরিচালক সম্ভাব্য সমাধান চেয়ে অংশগ্রহণকারীদের গ্রুপে বিভক্ত করে দিবেন। ৩০ থেকে ৩৫
মিনিট সময়ে তাঁরা বিষয়টি আলোচনা করে সুপারিশমালা পেশ করবেন। গ্রুপসমূহের সুপারিশ আলাদা
আলাদাভাবে উপস্থাপনের পর সেশন পরিচালক উক্ত সমস্যার বাস্তব সমাধান কিভাবে করা হয়েছে
তা পেশ করবেন।
মাঠে
ট্রুপ মিটিং চলছিল। সহকারী ইউনিট লিডারগণ ও প্যাট্রোল লিডারদের নিয়ে ইউনিট লিডার মাঠ
সংলগ্ন একটি কক্ষে দলীয় তাঁবুবাসের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন আর স্কাউটরা মাঠে সদস্য স্তরের
ছয়টি গেরো অনুশীলন করছিল। আলোচনা শেষে প্রায় ৩০ মিনিট পরে তাঁরা মাঠে ফিরে দেখেন, স্কাউটরা
গেরো অনুশীলন না করে গোলমাল করছে, কেউ কেউ বসে গল্প করছে। তাঁরা ফিরে আসতেই সকলে চুপ
হয়ে গেল। দেখা গেল- এক কৌটা রঙ কেউ ফেলে গিয়েছে; ফলে দেয়াল, মেঝে ও কয়েকটি চেয়ার নোংরা
হয়ে গেছে: চেষ্টা করেও দাগ তুলতে পারে নি। ইউনিট লিডার জিজ্ঞেস করলেন, “কে রঙ ফেলেছে?”
কেউ স্বীকারোক্তি না করায় তিনি বললেন যে, যদি
কেউ দোষ স্বীকার না করে তবে তাঁবুবাস হবে না। ট্রুপ মিটিং শেষ হবার ৫ মিনিট পূর্বে
একজন ভাল স্কাউট এসে জানালো যে, সে এ কাজটি করেছে। ইউনিট লিডার তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে
বললেন যে, তাঁবুবাস বাতিল হবে না। সেই স্কাউটটি আর কোনোদিন ট্রুপ মিটিং এ আসে নি।
#
আরও কিছু কেইস নিম্নরূপ হতে পারে-
১.
কোনো কাব/স্কাউট পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ করেছে।
২.
কেউ কেউ নিয়মিত প্যাক/ট্রুপ মিটিং এ আসে না।
৩.
অস্বাভাবিক পরিবর্তন কারো মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। যেমন- স্কাউটিং এ আগ্রহ কমে গেছে।
৪.
একটি স্কাউট প্রোগ্রামে ৫০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলো ৩২ জন যোগ দিয়েছেন, বাকি ব্যক্তি
কেন আসেন নি এটিও একটি কেইস।
#
জ্ঞাতব্য :
-
কেইস স্টাডিতে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য অংশগ্রহণকারীদের জানাতে
হবে।
-
অংশগ্রহণকারীগণ ঘটনার বিশ্লেষণ করে ইউনিট লিডারের ভূমিকা, তিনি
ভুল করেছেন কি না; কি, কখন, কিভাবে করলে আরও ভাল হত অথবা ঘটনার আলোকে ইউনিট লিডারের
কি করা উচিত ছিল সে বিষয়ে মতামত দিবেন।
-
কেইস স্টাডি গ্রুপে না করে প্রত্যেককে আলাদাভাবেও করতে দেয়া
যায়।
-
এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় না; এটি একটি
দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি।
কোনো একটি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষক এক বা একাধিক সমস্যার ভিত্তিতে
কতিপয় চিঠি, সংবাদ, সার্কুলার, সভার সিদ্ধান্ত, প্যাক/ট্রুপ রেকর্ড প্রশিক্ষণার্থীদেরকে
লিখিত আকারে পেশ করবেন। ধরা যাক, স্কাউটিং এর সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সমস্যা সমাধান
বিষয়ে প্রশিক্ষক আলোচনা করতে চান। এক্ষেত্রে তিনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অংশগ্রহণকারীদের
দিতে পারেন।
১। ‘একজন পিতা যিনি মনে করেন স্কাউটিং করে তার ছেলে
অযথা সময় নষ্ট করছে,’ স্কাউট লিডারকে লেখা তার একটি চিঠি।
২। একজন প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে প্রতিদিন প্যাক/ট্রুপ
মিটিং করার অনুরোধ।
৩। একজন স্কাউট টেলিফোনে জানিয়েছে যে, স্কাউটিং কার্যক্রম
তার ভাল লাগে না তাই সে আর স্কাউটিং করবে না।
# কিভাবে করা হয়?
১. উপর্যুক্তভাবে সেশনের উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে সেশন পরিচালক সেশন পরিকল্পনা করেন এবং কাল্পনিক
কিছু তথ্য লিখিত
আকারে অংশগ্রহণকারীদের প্রদান করবেন।
২. সেশন পরিচালক সেশনের প্রারম্ভিক বক্তব্য শেষ করে সমস্যা
সম্বলিত তথ্যাদি দিবেন এবং এ বিষয়ের ওপর কাজ
করার জন্য ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় দিবেন।
৩. প্রশিক্ষণার্থীরা আলাদা আলাদাভাবে বিষয়টির উপর চিন্তা ভাবনা
করবেন ও সমস্যার আলোকে কি করবেন তার
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ
করবেন।
৪. তিনি প্রয়োজনে চিঠির খসড়া তৈরি করবেন, আলোচনা, ভিজিট, সেশন
পরিকল্পনা (তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যা প্রযোজ্য)
তৈরি করবেন।
৫. সবশেষে যারা এ সমস্যা নিয়ে কাজ করছেন তাদের একত্রিত করে
প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করা
হবে।
জ্ঞাতব্য :
১. অত্যন্ত সতর্কতার সাথে, বেশ সময় হাতে নিয়ে এ সেশন পরিকল্পনা
করা উচিত।
২. সমস্যার ঝুড়িতে ৫টির বেশি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা ঠিক নয়।
৩. প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে সমস্যাসমূহ না দিয়ে ছোট গ্রুপেও
তা দেয়া যেতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমস্যা
মোকাবেলায় দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে আলাদা আলাদাভাবে
সমস্যাগুলো সমাধানের দায়িত্ব দেওয়াই ভালো।
১.
অভিনয়ের বিষয়টি যথাযথভাবে পর্যলোচনা করে বুঝিয়ে দিতে হবে।
২.
কে কোন ভূমিকায় অভিনয় করবেন তার ধারণা আগে দিতে হবে।
৩.
সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে। সময়সীমা ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট হবে।
৪.
অবশ্যই মহড়া দিতে হবে।
৫.
অভিনয়ের সময় স্কাউট আদর্শের পরিপন্থী কোনো সংলাপ, অভিনয় বা শব্দ পরিহার করতে হবে।
৬.
অশালীন অঙ্গভঙ্গী পরিহার করতে হবে।
(সম্পাদনায়- স্কাউটার নির্মল চন্দ্র শর্মা,
এলটি, বাংলাদেশ স্কাউটস, সিলেট অঞ্চল।)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন