সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, বিবিধ

শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮

লবণ জলে কুলকুচি


লবণ জলে কুলকুচি
সর্দি, গলাব্যাথা প্রভৃতিতে আমরা অনেক সময় লবণ জলে কুলকুচি বা গার্গল করে থাকি কারণ লবণ জলে কুলকুচি কণ্ঠনালীর জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক এবং শিথিলতা আনয়নকারী।


সংজ্ঞা : কয়েক সেকেন্ডের জন্য গরম জল ও লবণের দ্রবণ কণ্ঠনালীতে রেখে গড়ান বা গড়গড়ান।

গুণ :
১) কণ্ঠনালীর ক্ষত কমায়।
২) কণ্ঠনালীর চুলকানী কমায়।
৩) কণ্ঠের/মুখ বিহ্বরের অংশ বিশেষের প্রদাহ কমায়।
৪) কণ্ঠনালীর মাংসপেশীর শিথিলতা আনে।
৫) কণ্ঠনালীতে অস্বাভাবিক রক্ত সঞ্চয়ের উপশম করে।

কখন প্রয়োজন :
১) কণ্ঠনালীর প্রদাহ;
২) কণ্ঠনালীর ক্ষত;
৩) টনসিল;
৪) শুষ্ক কাশি এবং কণ্ঠনালীর চুলকানী এবং
৫) ফ্যারিনজাইটিস এবং ল্যারিনজাইটিস প্রভৃতিতে

উপকরণ :
১) দুই গ্লাস গরম জল;
২) এক চা চামচ খাবার লবণ (সোডিয়াম ক্লোরাইড);
৩) একটি চা চামচ।

পদ্ধতি :
১) দুই গ্লাস গরম জলে এক চা চামচ লবণ মেশান। লবণ না গলা পর্যন্ত চামচ দিয়ে নাড়ুন। পান করার জন্য যতটুকু গরম সহ্য করা যায় সেই উষ্ণতায় জল রাখতে হবে।
২) যথেষ্ট পরিমাণ জল চুমুক দিয়ে নিয়ে উপড়িয়ে ফেলার আগ পর্যন্ত কয়েক সেকেন্ডের জন্য কণ্ঠনালীর মধ্যে মুক্তভাবে আবর্তন করতে থাকুন।
৩) দুই গ্লাস জল অনুরূপভাবে গড়ান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়া চালাতে থাকুন।
৪) কণ্ঠনালীর ক্ষত যদি কর্কশ কণ্ঠস্বরসহ গুরুতর হয় তবে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর কুলকুচি বা গার্গল করা যেতে পারে।
৫) উত্তম ফল লাভের জন্য এ সময়ে কোন ঠাণ্ডা পানীয় পান করা যাবে না।
তথ্যসূত্র : জল-চিকিৎসার অপূর্ব বিধান
লেখক : হারমিনিয়া ডি গুজম্যান-ল্যাডিয়ন
ঢাকা, ২০০১

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন