১.
জনস্বাস্থ্য :
ক) নখ, দাঁত, চুল, চোখ প্রভৃতির যত্ন
নিতে পারা।
# নখের যত্ন
: নখ পরিস্কার রাখা খুব দরকার। হাতের বা পায়ের নখ বড় হলে কেটে পরিস্কার রাখতে হবে।
ময়লা, ধুলাবালি, রোগজীবাণু খুব সহজে নখের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। সুতরাং সপ্তাহ
অথবা অন্ততঃ দশ দিনে একবার সমান ও মসৃণ করে নখ কাটতে হবে।
# দাঁতের
যত্ন : দাঁত দ্বারা আমরা খাদ্যবস্তু চিবিয়ে খাই। আহারের পর অবশ্যই ভাল করে দাঁত
পরিস্কার করতে হবে; যাতে খাদ্যবস্তু দাঁত নষ্ট হয়ে যাবে, দাঁত পড়ে যাবে। এর থেকে
রক্ষা পেতে হলে দাঁতের যত্ন নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। খাওয়ার পর অন্ততঃ দুইবার (
সকালে ও রাতে) দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
# চুলের
যত্ন : প্রতিদিন অন্ততঃ একবার গোসল করার সময় ভাল করে চুল ধুইতে হবে। সপ্তাহে ১দিন
বা ২দিন শেম্পু বা সাবান দিয়ে চুল পরিস্কার করতে হবে। ছেলেদের চুল যথাসম্ভব কেটে
ছোট রাখতে হবে। চুল অপরিস্কার রাখলে মাথায় খুশকি ও উকুন হবে। অকালে চুল পড়ে যাবে।
# চোখের যত্ন : চোখে ধুলাবালি ময়লা পড়ার
সম্ভাবনা থাকে বেশি। হাত দিয়ে চোখ কখনও রগড়াবে না। পরিস্কার রুমাল ব্যবহার করবে।
চোখে কোন কিছু পড়তে পারে, এতে চোখ হাত দিয়ে না কচলে বড়দের সাহায্য নিবে। পরিস্কার
নরম কাপড় দিয়ে চোখ মুছে আনতে হবে। প্রচুর পরিমানে পরিস্কার পানিতে চোখ ধুইতে হবে।
পরিস্কার রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
খ) জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এমন ৩টি
বিষয় জানা ও তা থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
১. যত্র
তত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা
২. খোলা
জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ
৩. পোকা দমন
এবং পচনশীল ফলমূল ও খাদ্য সংরক্ষণের জন্য মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার।
৪. খাদ্যে
ভেজাল প্রয়োগ।
৫. মোবাইল
ফোনের রেডিয়েশন।
গ) নিকটস্থ হাসপাতালের টেলিফোন ও
মোবাইল নম্বর জানা।
সুনামগঞ্জ
সদর হাসপাতাল, ফোন নম্বর : 61704
ঘ) বাসার কাছের একজন ডাক্তারের
ঠিকানা/বাসা চেম্বার চেনা এবং ঐ ডাক্তারের মোবাইল নম্বর জানা।
ডাঃ দেবাশীষ শর্মা,
এমবিবিএস
জনতা ফার্মেসী, পুরাতন বাস স্টেন্ড, সুনামগঞ্জ।
মোবাইল নম্বর : ০১৭১৫০২০৯৫০
ঙ) খাবার সেলাইন তৈরি করতে পারা ও এর
ব্যবহার জানা।
হাসপাতাল বা
দোকানে যে সব প্যাকেট স্যালাইন পাওয়া যায় এগুলো তৈরির নিয়ম হচ্ছে নিরাপদ পানি অথবা
ফুটানো পানি ঠাণ্ডা করে প্যাকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী স্যালাইন গুলে নিতে হবে। যদি
প্যাকেট না পাওয়া যায় তবে, নিরাপদ পানি অথবা ফুটানো পানি ঠাণ্ডা করে নিয়ে আধ লিটার
পানিতে তিন আঙ্গুলের এক চিমটি খাওয়ার লবণ ও একমুঠো গুড় মিশিয়ে ভালভাবে নেড়ে বাড়িতে
খাওয়ার স্যালাইন তৈরি করা যায়।
একবার তৈরি
স্যালাইন ১২ ঘন্টা পর্যন্ত ভাল থাকে। যদি তৈরি স্যালাইন ১২ ঘন্টার মধ্যে খাওয়ানো
শেষ না হয়, তবে তা ফেলে দিয়ে নতুন স্যালাইন তৈরি করতে হবে। যতবার পাতলা পায়খানা
হবে ততবার রোগীকে স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
চ) পানি নিরাপদ করার উপায় জানা
(অন্তত: ১টি)।
পানি নিরাপদ
করার উপায় –
১. নলকূপের
পানি না পেলে পরিষ্কার পুকুর ও নদীর পানি ফুটিয়ে পান করা যায়।
Ø
পুকুর, নদী, খাল ও কুয়ার পানি প্রথমে ছেঁকে নিতে হবে।
Ø
তারপর পরিষ্কার পাতিলে করে পানি চুলায় বসাতে হবে।
Ø
পাতিলের পানি টগবগ করে ফুটে ওঠার পর কমপক্ষে ৩০ মিনিট ধরে ফুটাতে হবে।
Ø
পাতিল থেকে মগ বা গ্লাস ডুবিয়ে পানি তোলা ঠিক নয়। এতে সবটুকু পানি দূষিত হতে
পারে।
২. পুকুর ও
নদী বা কুয়ার পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে দূষিত পানি নিরাপদ করা যায়।
Ø
পুকুর, নদী বা কুয়ার পানি একটি কলসিতে নিয়ে ১ টেবিল চামচ পরিমান ফিটকিরি
মেশাতে হবে।
Ø
কিছুক্ষণ পর পানির ময়লা থিতিয়ে নিচে পড়বে।
Ø
এবার উপর থেকে পরিষ্কার পানি অন্য পাত্রে ঢেলে নিতে হবে।
৩. পানি
নিরাপদ করার বড়ি বা ট্যাবলেট দিয়েও এই পানি নিরাপদ করা যায়।
Ø
এক কলস পানির মধ্যে ২/৩টা বড়ি বা ট্যাবলেট দিতে হবে।
Ø
বড়ি মেশানোর ৬ ঘণ্টা পর পানি নিরাপদ হবে।
ছ) শিশুদের হয় এমন ৬টি গুরুতর রোগের
নাম বলতে পারা।
১)
ডিপথেরিয়া ২) হুপিং কাশি ৩) ধনুষ্টংকার
৪) পোলিও ৫) যক্ষ্মা ৬) হাম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন