শ্যামলী নিসর্গসখা দ্বিজেন শর্মা-র সঙ্গে আমার
যোগাযোগ সম্ভবত ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে। কিভাবে এ যোগাযোগ ঘটেছিল তা আজ আর স্মরণে
নেই। তবে নিয়মিত টেলিফোন ও পত্র যোগাযোগ দীর্ঘদিন ছিল। তিনি ছিলেন অত্যন্ত
উদার ও মুক্তমনের মানুষ। তাঁর ভাষায় (পত্রের তারিখ : ১৮.০২.১৯৯৫ খ্রিঃ), "আমি ছোটবেলা থেকেই সংস্কারমুক্ত। আমার মা,
১৯৭৫ সালে প্রয়াত ৯০ বছর বয়সে, কোনদিন সংগঠিত ধর্মে (organized religion) বিশ্বাস করতেন না। বাবাও মানবিক দর্শনের
অনুসারী ছিলেন।’’ এহেন মাতা-পিতার সন্তান অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক হবেন এটাই
স্বাভাবিক। কিন্তু শুধুমাত্র মানুষের জন্যই নয়, উদ্ভিদ-প্রাণি সকলের জন্যই তাঁর
প্রাণ কাঁদতো।
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
শ্যামলী নিসর্গসখা দ্বিজেন শর্মা স্মরণে
লেবেলসমূহ:
শিক্ষা

সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
নিউরনে রণন: বন-পাহাড়ের কোলে
নিউরনে রণন: বন-পাহাড়ের কোলে: বন-পাহাড়ের কোলে [সদ্যপ্রয়াত জীববিজ্ঞানী, লেখক, অনুবাদক, নিসর্গবিদ শ্রদ্ধেয় দ্বিজেন শর্মা-র প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি] ছনের ছ...

বন-পাহাড়ের কোলে
বন-পাহাড়ের কোলে
[সদ্যপ্রয়াত জীববিজ্ঞানী, লেখক, অনুবাদক, নিসর্গবিদ শ্রদ্ধেয় দ্বিজেন শর্মা-র প্রতি
শ্রদ্ধাঞ্জলি]
ছনের ছাউনি, ধবধবে মাটির দেয়ালঘেরা একটি চালাঘর, এক
চিলতে বারান্দা, ঝকমকে নিকোনো উঠোন, উঠোনের ওপাশে রাস্তা আগলে টংগীঘর, চারদিকে অনুচ্চ
পাঁচিল, তারপর নিবিড় বন। ছোট ছোট টিলায় ছবির মতো সুন্দর এক একটি বাড়ি। পিচাশ, শিয়ালমুত্রা,
লুটকী আর তারাফুলের পাশাপাশি টিলার কিনারার দিকে রয়েছে গল্লাবেতের ঝোপ, রামকলা আর মুলিবাঁশের
ঘনো বন। জারুল, গর্জন, নাগেশ্বরসহ হরেক রকম গাছগাছালিতে ভরা এক একটি টিলা। প্রকৃতি
নিপুণভাবে সাজিয়েছে টিলাগুলোকে। টিলা চুঁইয়ে পানি ঝরে অনুক্ষণ, সিক্ত থাকে টিলার পাদদেশ।
মওকা পেয়ে কৃষক ফসল তোলে বারো মাস। এখানেই বিপ্লবদের বাড়ি। বাড়ির পাশেই ঝরনা। পাথর
আর কাঁকড়ের উপর গড়িয়ে পড়া স্বচ্ছ জলধারা। এমন যে, কোথাও কোথাও পায়ের পাতাটুকুই তাতে
ডোবে, কিন্তু বৃষ্টি নামলেই প্রমত্তা, ঘোলা জলের ঢল গর্জে ছুটে চলে দু’কুল কাঁপিয়ে;
যেন ফনা তোলে তেড়ে আসে নাগরাজ। ঝরনার ও’কূল ঘেষে টিলার পর টিলা, পাহাড়ের পর পাহাড়-
সীমানাহীন, কে জানে কোথায় ঠেকেছে, হয়তো-বা হিমালয়ে। বিপ্লব ভাবে, ভাবনাগুলো তাকে কোন
সুদূরে নিয়ে যায়।
লেবেলসমূহ:
শিক্ষা

বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি
বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি :
যেকোনো
কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হলে পরিকল্পনার প্রয়োজন, সে জন্যে দীর্ঘমেয়াদী বা স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি
করা যায়।
সারা বছর সফলভাবে পাঠদান করার জন্য বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা আবশ্যক। পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত বিষয়বস্তুর
পাঠদান ও বছরের বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনাকে বার্ষিক পাঠ
পরিকল্পনা বলা যায়।
লেবেলসমূহ:
শিক্ষা

এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)