প্রভাতকুমার শর্মা (১৯১০—২০০৬) : আজ ০৬ অক্টোবর
তাঁর মহাপ্রয়াণ দিবস। তাঁর জন্ম মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে,
বড়লেখা- জুড়ি সড়কে কাঁঠালতলি বাজারের পশ্চিম পার্শ্বেই এই গ্রাম। তাঁর পিতামহ ও পিতা
উভয়ই ছিলেন এই এলাকার বিখ্যাত ভিষক। তাঁর ভাষায়, “জন্ম ১৩২০ বাংলা, মাঘ মাস”।
তাঁর পিতার নাম ভিষক চন্দ্রকান্ত শর্মা এবং মাতার নাম মগ্নময়ী দেবী। বাবা ভিষক বা গ্রাম্যভাষায় কবিরাজ, আর মা ছিলেন সমাজসেবী। ছ’ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সকলের বড় আর খোকা পঞ্চম । নিসর্গপ্রেমী, উদ্ভিদ বিজ্ঞানী, অনুবাদক ও লেখক দ্বিজেন শর্মার ডাকনাম খোকা। তিনি তাঁকে নবতিপর বয়সেও খোকা বলেই ডাকতেন । এই খোকার অনুরোধে বয়স ৯০ পেরিয়ে তিনি আত্মজীবনী লিখেছেন। নাম, “শূন্য হাতে ভ্রমী বা এক জীবনপ্রেমীর লীলাময় জীবনকথা”। এই আত্মজীবনী প্রথমে মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকার তিনটি সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল। সম্পাদক মীজানুর রহমান পরে গ্রন্থটি তাঁর নিজের প্রকাশনা সংস্থা সাহানা, ঢাকা থেকে ডিসেম্বর, ২০০৫ এ প্রথম প্রকাশ করেন।
তাঁর পিতার নাম ভিষক চন্দ্রকান্ত শর্মা এবং মাতার নাম মগ্নময়ী দেবী। বাবা ভিষক বা গ্রাম্যভাষায় কবিরাজ, আর মা ছিলেন সমাজসেবী। ছ’ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সকলের বড় আর খোকা পঞ্চম । নিসর্গপ্রেমী, উদ্ভিদ বিজ্ঞানী, অনুবাদক ও লেখক দ্বিজেন শর্মার ডাকনাম খোকা। তিনি তাঁকে নবতিপর বয়সেও খোকা বলেই ডাকতেন । এই খোকার অনুরোধে বয়স ৯০ পেরিয়ে তিনি আত্মজীবনী লিখেছেন। নাম, “শূন্য হাতে ভ্রমী বা এক জীবনপ্রেমীর লীলাময় জীবনকথা”। এই আত্মজীবনী প্রথমে মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকার তিনটি সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল। সম্পাদক মীজানুর রহমান পরে গ্রন্থটি তাঁর নিজের প্রকাশনা সংস্থা সাহানা, ঢাকা থেকে ডিসেম্বর, ২০০৫ এ প্রথম প্রকাশ করেন।
তাঁর জীবনে সম্পদের প্রাচুর্য ঘটেনি; কিন্তু আনন্দ ছিল। সুরসিক আনন্দবাদী
ছিলেন তিনি। তাঁর রচনার পরতে পরতে এর প্রমাণ রয়েছে । খুবই সরল আর অকপট লেখা। আমাদের
সমাজে আত্মজীবনীগুলো এমন অকপট হয় না। যা কিছু ভালো, সুন্দর, মহৎ শুধু তা-ই বলা
হয়, মানবিক ভুল-ত্রুটি-গ্লানিগুলো রাখা হয় গোপন। যারা আত্মজীবনী রচনা করেন তাঁরা সাধারণত
বিখ্যাত ও সমাজে শ্রদ্ধেয় মানুষ, সত্য প্রকাশের চেয়ে মানসম্মান বজায় রাখা তাদের কাছে
বেশি জরুরি।তাই বিদ্বানগণ মনে করেন, সত্যিকারের আত্মজীবনী (রুশোর কনফেকশান্স, যুবক
তলস্তয়ের ডায়েরি, বার্ট্রান্ড রাসেলের অটোবায়োগ্রাফি এমনকি খুশবন্ত সিংয়ের অটোবায়োগ্রাফির
মতো অকোপট স্বীকারোক্তিপূর্ণ লেখা) আমাদের সমাজে নেই।সেদিক থেকে প্রভাতকুমার শর্মার শূন্য হাতে ভ্রমী এক ব্যতিক্রমী আত্মজীবনী। এ ব্যাপারে
মীজানুর রহমান বলেছেন, ‘এ কথা তো মান্য, মনোজগতে আমরা সবাই মুক্তবসন ব্যভিচারী, ব্যবহারিক
জীবনে মুক্তসঙ্গ ধর্মচারী। ফলে বাংলা আত্মজীবনীমূলক সাহিত্যে লোকাচার-বিরুদ্ধ মনোজগতের
কামরসে জারিত ভাঁড়ারটির তত্ত্বতালাশ লোকভয়ের কারণে খুব একটা দেখা মেলে না লেখক প্রভাত
শর্মা সে কাজটি সততার সঙ্গে পালন করেছেন‘।
০৬ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখে প্রভাতকুমার শূন্য হাতে বিদায় নেন । বিদায়ের মাস
কয়েক আগে (২৯.০৪.২০০৬ খ্রি:) আমি শূন্য হাতে ভ্রমীসহ তাঁর আশির্বাদ পেয়ে ধন্য হই।
প্রয়াণ দিবসে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন